গণপরিবহনে করোনাকালের আগের ভাড়া কার্যকর হতে পারে সেপ্টেম্বরের শুরু অর্থাৎ আগামী সপ্তাহ থেকে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই এ আভাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাসে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্ত বাতিল করে আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের যে প্রস্তাব পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা দিয়েছেন, তা বিবেচনা করছে সরকার।
মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমিল্লা জোনের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক পরিবহন করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বাসসহ যাত্রীবাহী সকল যান চলাচল বন্ধ ছিল। সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় অর্ধেক আসন খালি রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ১১ শর্তে ১ জুন গণপরিবহন চালু হয়। তবে ভাড়া বাড়ে ৬০ ভাগ। তবে অধিকাংশ লোকাল বাসে সব আসনে যাত্রী তোলা হচ্ছে। ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে বেশি। বিভিন্ন সংগঠন বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে।
লোকসানে পড়ে বড় কোম্পানির মালিকরাও আগের ভাড়ায় ফিরতে চান। শ্রমিক নেতারাও সব আসনে যাত্রী তোলার পক্ষে। গত বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বৈঠকে বসেন তারা। সভা থেকে সুপারিশ আসে, গণপরিবহনে সব আসনে যাত্রী নেওয়া হবে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা হবে। দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা হবে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাত্রী, চালক, শ্রমিক সবাই মাস্ক পরবেন।
এ সুপারিশ সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় হয়ে গেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্ন শর্ত জারি রয়েছে। নতুন নির্দেশনা আসবে শিগগির। সেই নির্দেশনায় গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করার অনুমতিও আসতে পারে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করে সব আসনে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিলে আগের ভাড়া কার্যকর করা হবে।
ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিআরটিএর সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ অংশীজনদের সভা থেকে যে সুপারিশ এসেছে, তা বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। জনস্বার্থে এবং বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহনের পুরোনো ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার বিষয়টি চিন্তা করছে সরকার।