আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি, বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা। ফুটবল জাদু দিয়ে যিনি সব সময়ই খবরের শিরোনামে থাকেন। গত কয়েক দিন ধরে তিনি শিরোনামে আছে কাতালান ক্লাব বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে। ক্রীড়া জগতে বর্তমানে এর চেয়ে আলোচিত আর কোনও সংবাদ নেই। এমন পরিস্থিতিতে মুখোমুখি অবস্থান করছে বার্সা-মেসি। বাই আউট ক্লজের মারপ্যাঁচে মেসিকে বার্সাতেই রেখে দিতে চায় ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ।
এর পেছনে রয়েছে তার ব্যক্তিগত স্বার্থও। কেননা মেসি যদি বার্সেলোনা ছেড়ে যান তাহলে জেলও হতে পারে বার্সা প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউ’র।
ইউরোপের বেশিরভাগ ক্লাবের মতো বার্সেলোনা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ক্লাব নয়। এর মালিক ক্লাবের সদস্যরাই। অর্থাৎ ক্লাবের যেকোনো ভালো-মন্দ সিদ্ধান্তে ক্লাবের সদস্যরাই প্রশ্ন তুলতে পারবেন, এমনকি চাইলে আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারবেন।
এ বিষয়টি তুলে ধরে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম বিবিসির ক্রীড়ালেখক গুইলেম বালাগ জানিয়েছেন, বার্সেলোনা যদি এখন মেসিকে ছেড়ে দেয় এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যদি মনে করেন এতে ক্লাবের ক্ষতি করেছেন বার্তোমেউ, তাহলে বার্তোমেউ’র বিপক্ষে বড় অঙ্কের জরিমানাসহ আদালতে মামলাও করতে পারবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বালাগ লিখেছেন, ‘বার্তোমেউ মেসিকে ধরে রাখতে চায় কারণ কোচ (রোনাল্ড কোম্যান) তাকে দলে চায়। যখন কোম্যান বার্তোমেউকে জিজ্ঞেস করেছে, আমার কাছে কি মেসি আছে? তখন প্রেসিডেন্ট বলেছে, হ্যাঁ। কিন্তু পরদিনই জর্জ মেসি (লিও মেসির বাবা) ফের বলেছেন, তার ছেলে ক্লাব ছাড়তে চায়। তখন কোম্যান জানিয়েছেন, তিনি মেসিকে ছাড়াও শক্তিশালী দল বানাতে পারবেন।’
‘এছাড়া অন্য কারণ হলো, বার্তোমেউ তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের শক্তিশালী করতে চায় না। তবু শেষপর্যন্ত যদি সে মেসিকে বিক্রি করে দেয়, তাহলে পরবর্তী ক্লাব প্রেসিডেন্ট কিংবা পুরো মৌসুমের টিকিটধারীরা চাইলে ক্লাবের সম্পদের অপব্যবহারের অভিযোগ আনতে পারবে। যা কি না তার (বার্তোমেউ) নিজের পকেট থেকে বড় অঙ্কের অর্থ খসাতে পারে, এমনকি জেলও হতে পারে। তাই শেষপর্যন্ত মেসিকে ধরে রাখতে লড়বে বার্তোমেউ।’