করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ রবিবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যা ৭ টা ২৫ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর বিষয়টি করেছেন তার মেয়ের জামাই রিয়াজুল হক।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর এটর্নী জেনারেলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। করোনামুক্ত হলেও তার শারীরিক অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়। মাহবুবে আলমকে ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে আইসিইউতে নেয়া হয়। এখনও নিবিড় পরিচর্যায় তার চিকিৎসা চলছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে এটর্নী জেনারেল জ্বর অনুভব করেন।

৪ সেপ্টেম্বর সকালে করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি সিএমএইচে ভর্তি হন।

মাহবুবে আলম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ সালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং লোক প্রশাসনে এমএ পাস করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংবিধান ও সংসদীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিপিএস) থেকে সাংবিধানিক আইন ও সংসদীয় প্রতিষ্ঠান পদ্ধতিতে দুটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাহবুবে আলম আইন বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পর ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেন এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।

তিনি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

মাহবুবে আলম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৫ নভেম্বর ১৯৯৮ থেকে ৪ অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন।

প্রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সহ আরও অনেকে অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here