করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর আবার বাংলাদেশ-ভারতের ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘এয়ার বাবল’ নামের বিশেষায়িত কর্মসূচির মাধ্যমে এ মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে ফ্লাইট। এ জন্য ভারতের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি কবে বাংলাদেশ। এর পরই চালু হবে আকাশপথে যোগাযোগ।
বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধের সময় দুটি দেশ যখন বিশেষ ব্যবস্থায় নিজেদের মধ্যে বিমান যোগাযোগ স্থাপন করে, তাকে ‘এয়ার বাবল’ বলে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে আগেই এই চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হলেও এ নিয়ে চিঠি চালাচালিতে সময় গড়ায়। চুক্তির মূল বিষয়গুলো সুরাহা হয়েছে। যেসব বিষয় নিষ্পত্তি হয়নি তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। এই সভায় ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারত ২৮টি করে ৫৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এতে সপ্তাহে পাঁচ হাজার জনের মতো যাত্রী উভয় দেশে যাতায়াত করতে পারবেন।
বাংলাদেশের প্রস্তাবে উভয় দেশের যাত্রীদের জন্য ৭২ ঘণ্টার আগের করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের স্পাইস জেট, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, গোএয়ার, ভিস্তারা—এই ছয় এয়ারলাইনস দিল্লি-কলকাতা-চেন্নাই-মুম্বাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনার তালিকা দিয়েছে। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা-দিল্লি, দিল্লি-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা-কলকাতা, কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-চেন্নাই, চেন্নাই-ঢাকা রুটে এবং নভো এয়ার ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে বিমান পরিচালনা করবে।
উল্লেখ্য, ভারত এখন ভুটান, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ পরিচালনা করছে।