করোনাভাইরাসে মহামারি পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকা মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১ নভেম্বর থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে।
বেশকিছু শর্ত প্রতিপালন নিশ্চিত করা সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিড়িয়াখানা খোলার এ অনুমতি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের পালনীয় শর্ত-
১. চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে অমোচনীয় রঙ দিয়ে বৃত্তাকার স্থান চিহ্নিত করতে হবে।
২. প্রবেশ গেটে জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ স্থাপন করতে হবে।
৩. প্রবেশ গেটে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে দর্শনার্থীর দৈহিক তাপমাত্রা চেক করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫. দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬. দর্শনার্থীর সংখ্যা দৈনিক সর্বোচ্চ দুই হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৭. প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীর এনক্লোজারের চারপাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।
৮. পরিদর্শন সময় সকাল ৯টা থেকে বেকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে হবে।
৯. ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে এবং
১০. ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে হবে।
দর্শনার্থীদের পালনীয় বিষয়-
১. চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অমোচনীয় রঙ দিয়ে চিহ্নিত বৃত্তাকার স্থানে অবস্থান করতে হবে।
২. প্রবেশ গেটে স্থাপিত জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ ব্যবহার করতে হবে।
৩. চিড়িখানার ভেতর প্রবেশের পর দিকনির্দেশক অনুসরণ করে একমুখী পথ ব্যবহার করতে হবে।
৪. বাধ্যতামূলকভাবে ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৫. চিড়িয়াখানায় খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
৬. চিড়িয়াখানার ভেতরে এক জায়গায় ভিড় বা জটলা করা যাবে না।
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনার ক্রান্তিকালে ঢাকা শহরবাসীর বিনোদনের উল্লেখযোগ্য বিকল্প না থাকায় তাদের বিনোদন এবং শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিড়িয়াখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণীদের খাদ্য, নিয়মিত পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতির বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।