বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় তিন আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিন হলেন- পায়েলকে যে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় হানিফ পরিবহনের সেই বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেন।
এর আগে আজ রবিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ মামলার তিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালত হাজির করা হয়। এসময় আদালতের গারদে রাখা হয় তাদেরকে। পরে সকাল সাড়ে ১১টায় তাদেরকে এজলাসে তোলা হয়। বিচারক বেলা পৌনে ১টায় রায় পড়া শুরু করেন। এর পর বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
এদিকে, উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনে তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের অব্যাহতি প্রার্থনা করেন।
২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল।
২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।
এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।