WHO

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন বিশেষ দূত বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলো প্রথম ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত গ্রীষ্মে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে না তোলায় এখন দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হেনেছে।

এবারও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে আগামী বছরের শুরুতেই এ মহাদেশে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসবে। এশিয়ার দেশগুলো থেকে ইউরোপের অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার ছিল। খবর আল জাজিরা ও ডয়চে ভেলের।

সুইজারল্যান্ডের সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএইচওর দূত ডেভিড নাবারো বলেন, ইউরোপ প্রথম তরঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আনার পর কয়েক মাস সময় পেলেও তাকে কাজে লাগায়নি।

করোনাভাইরাস রোধে সুইজারল্যান্ডের শিথিল স্বাস্থ্যবিধির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সেখানে আবার অসুস্থতা ও মৃত্যু ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে।

ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও তুরস্কে বর্তমানে সংক্রমণ লাগামহীন। নাবারো বলেন, এশিয়ার দেশগুলো অপরিপকস্ফভাবে কড়াকড়ি শিথিল করেনি। সংক্রমণ ব্যাপকভাবে কমে আসার আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ইউরোপের পদক্ষেপ ছিল অসম্পূূর্ণ।

নাবারো এশিয়ার দেশগুলোর প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ তুলনামূলক কম। সেখানে জনগণ করোনা মোকাবিলায় পুরোপুরি জড়িত। তারা আচরণগত পরিবর্তন আনায় করোনাভাইরাস টিকতে পারছে না। তারা দূরত্ব বজায় মেনে চলে, মাস্ক পরে, অসুস্থ হলে আইসোলেশনে যায়, হাত ধোয়। সবচেয়ে বিপন্ন গোষ্ঠীকে রক্ষা করে চলে তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here