ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় মার্কিন মডেল হালিমা আদেন র্যাম্প (রানওয়ে) মডেলিং ছেড়ে দিচ্ছেন। ২৩ বছর বয়সী হালিমাকে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের ব্রিটিশ ও আরবি সংস্করণে প্রচ্ছদে দেখা গেছে। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
হালিমা আদেন বলেন, নিজের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে মডেলিং ছেড়ে দিতে যাচ্ছি। যে কাজটি করছিলাম সেটি আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর জন্য আমি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারি না। এ সিদ্ধান্তের কারণে অনেকের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেনও হালিমা।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসেকে তিনি বলেছিলেন, শালীনতা কোনো নির্দিষ্ট সংস্কৃতির জন্য নয়, কেবল বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের নারীর জন্যও নয় এটি। শালীনতাই হলো প্রাচীনতম ফ্যাশন।
তিনি জানান, করোনা মহামারিকালে একজন মুসলিম নারী হিসেবে তাঁর মূল্য কতটুকু, তা নিয়ে ভাবার সুযোগ হয়েছে। আদেন বলেন, ‘অবশেষে আমি উপলব্ধি করি যে ব্যক্তিগতভাবে আমার হিজাব পরিধানে ত্রুটি ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে হিজাব পরিধান করে চলাচল করা সত্যিই একটি কঠিন কাজ।’ মডেলিংকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা নিয়ে আদেন জানান, সুযোগের চেয়েও বেশি গ্রহণ করি যা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।’
একজন কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম নারী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে সফল হলেও নানা রকম চাপ অনুভব করেন তিনি। তাছাড়া ফটোশুটের সময়ের অস্বস্তিবোধও পীড়া দেয় তাকে।
আদেন আরও বলেন, ‘আমাকে ১০ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মূদ্রায় ৮৪ হাজার ৭’শ ৯২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) দেওয়া হলেও আমি হিজাব নিয়ে কোনো আপোষের ঝুঁকি গ্রহণ করব না। আমাকে আগের মতো হিজাব নিয়ে কোনো ছাড় দেব না।’
সোমালিয়ান বাবা-মায়ের সন্তান হালিমার জন্ম কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে। মাত্র ৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ১৮ বছর বয়সে মিস মিনেসোটা ইউএসএ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক মডেলিং এজেন্সি আইএমজির নজরে পড়েন।