চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন । তিনি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)র ষষ্ঠ মেয়র নির্বাচিত হলেন।
প্রথমবারের মতো ইভিএমে অনুষ্ঠিত নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের ৭৩৫ টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নগরীতে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। তবে, দুপুরে ইভিএম ভাঙচুর ও কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি হলে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের দুই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ২২৬ জন। যার মধ্যে ৩৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন মোট ১৬৯ জন। আর ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় এবং ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এই দুই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়নি। আর সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছেন ৫৭ জন।
বুধবার দিনভর ভোট গ্রহণের পর গণনা শেষে রাত ২টায় ফলাফল ঘোষণাকালে রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মোট ৭৩৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে (দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত)। এতে তিনি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন রোজাউল করিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট।
নির্বাচনী সহিংসতার কারণে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের দুইটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।