মিয়ানমারে সোমবারের সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় মঙ্গলবার দেশটির বেশ কয়েকটি বড় শহরে সরকারি হাসপাতালের কর্মীরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, তারা ধর্মঘটে যাচ্ছেন এবং সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবেন। খবর ইরাবতির
এ আন্দোলনের একজন কর্মী ডা. হেইন উইন্ট ওয়ার বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব পালন করি তখন কিছু রোগীর জীবন বাঁচাতে পারি। কিন্তু এ অভ্যুত্থানের পর নীরব থাকলে সামরিক একনায়কতন্ত্রের অধীনে প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষের আশা হারিয়ে যাবে।’
নায়পাইটা, মন্ডালয়, ইয়াঙ্গুন, পায়া, বাগো, মায়াওয়াদি, কিউকসে, মনিওয়া, সাগাইয়, পাইন ওও লউইন, ম্যাগওয়ে এবং নিউং ইউয়ের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা মঙ্গলবার অভ্যুত্থানবিরোধী একটি বিবৃতি দেন। এতে তারা নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী জনগণের ইচ্ছাকে অবহেলা করে একটি নতুন সরকার গঠন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর গঠিত অনির্বাচিত সরকারকে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দিতে চান না। এ কারণে বুধবার থেকে তারা ধর্মঘটে যাচ্ছেন।
অভ্যুত্থানকালে আটক দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট, স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের মুক্তিও দাবি করেন তারা। গত বছরের নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয়ীদের নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকা এ আন্দোলনে সহযোগিতা করার জন্য সারাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে অং সান সু চির যে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিতেন সেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীরাও ধর্মঘটে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।