বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন- হরিজন সম্প্রদায়ের প্রাণনাথ ও রামনাথ এবং আবুল কালাম। তাদের মধ্যে আবুল কালামের বাড়ি জেলার কাহালু এলাকায় এবং অন্য দু’জনের বাড়ি পুরান বগুড়া হরিজন সম্প্রদায় এলাকায়।
বিষাক্ত মদপান করে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) উপপরিচালক ডা. ওয়াদুদুর রহমান। এর আগে রোববার রাতে বিষাক্ত মদপানে ছয়জন মারা যান।
এদিকে শহরের হোমিও ওষুধের দোকানগুলোয় মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অনিয়মের অভিযোগে শহরের গালাপট্টি এলাকায় দুটি হোমিও ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসিম রেজা। তিনি জানান, এ বিষয়ে অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রির অভিযোগে শহরের ফুলবাড়ী এলাকার দেলোয়ার হোসেন রঞ্জুর ভাই মনোয়ার হোসেন রিপন সোমবার রাতে বগুড়া সদর থানায় তিনটি হোমিও হলের মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এগুলো হলো শহরের ফুলবাড়ী এলাকার পারুল হোমিও হল, পুনম হোমিও ল্যাবরেটরি ও শহরতলির তিনমাথা এলাকার খান হোমিও হল। মামলায় চারজনের নামসহ আসামি করা হয়েছে ১৫-১৬ জনকে। গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাত থেকেই তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে। মামলা করা ছাড়াও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পারুল হোমিও হল ও পুনম হোমিও ল্যাবরেটরিতে তালা দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সাতজনের লাশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষাক্ত মদপানের পর শহরের পুরান বগুড়া এলাকার সুমন রবিনাথ রোববার রাতে মারা গেলেও তার বাবা প্রাণনাথ ও চাচা রামনাথ চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালে। সোমবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, যে তিনটি হোমিও ফার্মেসির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে আছে।
বিষাক্ত মদপানে এ পর্যন্ত হরিজন সম্প্রদায়ের তিনজনসহ জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রবি ও সোমবার রাতে পৃথক এলাকায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। হরিজন সম্প্রদায়ের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বিষাক্ত মদপান করে প্রথমে সুমন রবিনাথের মৃত্যু হয়েছিল।