প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার ঘটনায় আটজনের ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাস দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মো. আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়া, মো. শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ, সেনাবাহিনীর বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া (নিষিদ্ধ সংগঠনটিতে সাগর ওরফে ইশতিখাক ওরফে বড়ভাই হিসেবে পরিচিত) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ।
দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তাঁদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
এর আগে, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের দিন তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পর পরবর্তীতে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেন।