মিয়ানমারে জান্তাদের হুমকির পরও সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত। বরং যত দিন যাচ্ছে, বিক্ষোভ আরও জোরালো হচ্ছে। শাসনতান্ত্রিক সংকট কাটাতে অচলাবস্থার একেবারে দ্বারপ্রান্তে। এরইমধ্যে সোমবার দেশটিতে সাধারণ ধর্মঘটে ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে গেছে।
তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের। সেই ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান গুঁড়িয়ে দিতে একইসঙ্গে অং সান সু চির মুক্তি দাবিতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। কর্তৃপক্ষের হুমকি এড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। এ থেকে যেকোনো সময় আরও প্রাণহারি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের
বিক্ষোভ মোকাবিলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী কার্যত কোনো সুবিধা করতে পারছে না। ব্যর্থ বলা হচ্ছে পরিস্থিতি দেখে, হুমকির পর হুমকি দিলেও তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতার অপসারণ আন্দোলনে ক্রমেই বাড়ছে মানুষ। বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের আন্দোলনের এক নেতা সান সান মাও বলছেন, প্রত্যেকেই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে। যা এই প্রতিবাদকে জোরালো করছে। আমাদের আরও বেরিয়ে আসা দরকার।
বিক্ষোভকারীরা অতীতের শুভ দিন দেখে দেখে বিক্ষোভ করছেন। ২২ ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। এছাড়া ১৯৮৮ সালের ৮ আগস্টের বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীও কম ধ্বংসাত্মক হয়নি। শনিবার গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে বিক্ষোভে তিনজন নিহত আছেন। তবে একজন পুলিশ সদস্যও বিক্ষোভে আহত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
তবে শনিবার দুইজনের মৃত্যুও বিক্ষোভকারীদের পেছনে ফেরাতে পারেনি। এ দিন ইয়াঙ্গুনে যেমন তারা জড়ো হয়েছিলেন, তার চেয়ে আরও বেশি জড়ো হয়েছেন রোববার। সোমবার এরচেয়েও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন ওই বিক্ষোভে।
বিক্ষোভের মুখে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, স্থানীয় দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চেইনগুলোও সোমবার ঘোষণা দিয়েছে, নিজেদের ব্যবসা বন্ধ রাখবে। এরমধ্যে রয়েছে ইউম ব্র্যান্ড ইনকের কেএফসি ও ডেলিভারি হিরোর মালিকানাধীন ডেলিভারি সার্ভিস ফুডপান্ডা।