ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুর এলাকায় এনা পরিবহন ও লন্ডন এক্সপ্রেসের দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে আট জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার রশিদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই বাসের আরও ৩৫ যাত্রী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
নিহত সাত জন হলেন- উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. আল মাহমুদ (৪০), এনা পরিবহনের বাসটির চালক ও বড়লেখা ওসমানীনগরের মানিক মিয়ার ছেলে মঞ্জুর আলী (৩৮), চালকের সহকারী ধরগাও ওসমানীনগরের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), সরাইল ব্রাহ্মণবাড়ির আলী হায়দারের ছেলে নুরুল আমিন, ঢাকার ওয়ারীর আব্দুল মালেকের ছেলে স্বাধীন আহমদ সাগর, লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসের সুপারভাইজার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের অলিউর রহমানের ছেলে সালমান, সিলেটের আখালিয়ার শাহ কামাল এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার রহিমা (৪৫)।
আহতদের যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন- কামরুজ্জামান, রেজাউল করিম, শামীম আহমদ, আলাউদ্দীন, শেখ রুহেল, আইয়ান, শান্তিলাল।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেসের একটি বাস ও সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকামুখী এনা পরিবহনের বাসটির সকাল ৭টার দিকে রশিদপুর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ যাওয়ার আগেই হতাহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসটির এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে আসার পথে বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন এবং বারবার বিপজ্জনকভাবে ওভারটেক করছিলেন। তাকে কয়েকবার সর্তকও করা হলেও তাতে কান দেননি।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বরাত দিয়ে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফুল্লাহ তাহের বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিন জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এছাড়া অপর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত ১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।