রিক্সা টানেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। একসময় ক্ষুন্নিবৃত্তি মেটাতে ডোমের কাজ করেছেন। রাঁধুনির কাজ নিয়েছেন, মাটি কুপিয়েছেন। বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রে দলিত সাহিত্য একাডেমির সভাপতিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় চমক। প্রচারে আলো যখন সবটুকু শুষে নিচ্ছেন সোহম, সায়ন্তিকা, কাঞ্চন, সায়নী, জুন, লাভলী, রাজেরা তখন হতদরিদ্র এই উদ্বাস্তুকে প্রার্থী করাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ।
মমতা প্রার্থীপদ ঘোষণার পরপর বলাগড়ের মুকুন্দপুরে মনোরঞ্জন ব্যাপারীর ঘুপচি ঘর ভিড়ে ভরে ওঠে। একদা পূর্ব পাকিস্তান থেকে ছিন্নমূল হয়ে আসা মনোরঞ্জন শুধু বলেন, রিকশা চালানোর সময় কত বড় গাড়ির টক্কর সামলাতে হয়, এবারও সামলে নেবো। রিকশা চালিয়ে, ডোমের মরা পোড়ানোর কাজের ফাঁকে কিংবা রান্নার কাজ করতে করতেও মনোরঞ্জন ব্যাপারী সাহিত্যচর্চা করে গেছেন। একবছর আগে লেখা তাঁর বই চণ্ডাল জীবনের অনুবাদ ইংরেজিতে হয়েছে।
দলিত সাহিত্য একাডেমির সভাপতির চেয়ারে তাকে বসান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রিকশাচালক স্বপ্ন দেখছেন দলনেত্রীর হাত শক্ত করার।