কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির থেকে ষষ্ঠ দফায় আরো চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে দুই হাজার ৫শ ৫৫ জন রোহিঙ্গাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবারও একই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের আরো একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে এবার ষষ্ঠ দফায় যারা ভাসানচর যাচ্ছে তাদের মধ্যে প্রায় ১৭০ পরিবার আছে যারা গত ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত।
কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে রোহিঙ্গাদের ৪৭টি বাসে করে ২ হাজার ৫৫৫ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতে তাদের চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। বুধবার সেখান থেকে তাদের নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
একইভাবে দফায় বুধবারও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও অন্তত দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে সেখান থেকে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
কক্সবাজার শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে পাঁচ দফায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে, ষষ্ঠ ধাপে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক আরো চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে বুধ ও বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।