করোনা সংক্রমণ কমাতে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’এর আগামী এক সপ্তাহও সীমিত লেনদেন হবে ব্যাংকগুলোতে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। আর আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। লকডাউন এক সপ্তাহ বাড়ানোর সরকারি প্রজ্ঞাপনের পর মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে। এসময়ে রাজধানীসহ জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সাপ্তাহীক ছুটি ছাড়া সবদিন ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে উপজেলা পর্যায়ে খোলা থাকবে রোব, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার।
কঠোর লকডাউন ঘোষণার শুরুতে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। এরপর ১৩ এপ্রিল ব্যাংকগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ সামলাতে ব্যাংকগুলো ওই দিন কলমানি থেকে ৮ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা ধার করে। গত আগস্ট মাসের পর যা ছিল সর্বোচ্চ। গ্রাহক ও ব্যাংকারদের ব্যাপক বিড়ম্বানার পর ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় এক নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মঙ্গলবারের নির্দেশনায় ১৩ এপ্রিলের ওই সার্কুলারের আলোকে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা বলা হয়, বিধিনিষেধের এসময়ে সব ব্যাংকের প্রধান শাখা বা স্থানীয় কার্যালয় খোলা রাখতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী সব শাখা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটারে (একাধিক যদি থাকে) অন্তত একটি শাখা খোলা থাকবে। উপজেলা পর্যায়ে কার্যরত শাখা রোব, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার খোলা রাখতে হবে। আর কর্মকর্তা কর্মচারীদের আনা নেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
লকডাউনের এ সময়ে এটিএম বুথ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর খোলা থাকা শাখা থেকে গ্রাহকরা সব ধরনের জমা-উত্তোলন, সঞ্চয়পত্র, এনআরবি বন্ডের মেয়াদপহৃর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ নিতে পারবেন। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বিভিন্ন ভাতা, রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, অভ্যন্তরীণ ও আন্ত:শাখা অর্থ স্থানান্তর করা যাবে। ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা, ট্রেজারি চালান ও ইউটিলিটি বিল নেওয়া যাবে।