coronavirus

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দিনে ছয় হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিলেন। এরমধ্যে গত ৭ এপ্রিল সাত হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন। এ পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ দিন টেস্ট বিবেচনায় শনাক্ত হার ছিল ২২ দশমিক ০২ শতাংশ।

বুধবার দুই সপ্তাহ পর দেশে একদিনে নতুন রোগী শনাক্ত চার হাজার ২৮০ জন। অর্থাৎ এ কয়দিনে ধীরে ধীরে কমেছে শনাক্ত। বুধবার টেস্ট বিবেচনায় শনাক্ত হার ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ ১৪ দিনের মাথায় একদিনে টেস্ট বিবেচনায় শনাক্ত কমেছে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে কমেছে। ৮ এপ্রিল শনাক্ত হয়েছিলেন ছয় হাজার ৮৫৪ জন। ৯ এপ্রিল শনাক্ত হন সাত হাজার ৪৬২ জন। ১০ এপ্রিল শনাক্ত হন পাঁচ হাজার ৩৪৩ জন।

এদিকে গত ১৪ এপ্রিল শনাক্ত হয়েছিলেন পাঁচ হাজার ১৮৫ জন। ১৫ এপ্রিল শনাক্ত হন চার হাজার ১৯২ জন। ১৬ এপ্রিল শনাক্ত হন চার হাজার ৪১৭ জন; ১৭ এপ্রিল তিন হাজার ৪৭৩ জন; ১৮ এপ্রিল এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০২ জনের মৃত্যুর দিন শনাক্ত হন তিন হাজার ৬৯৮ জন। এছাড়া ১৯ এপ্রিল শনাক্ত হন চার হাজার ২৭১ জন এবং ২০ এপ্রিল চার হাজার ৫৫৯ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা ছয় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৯ মার্চ। এর ঠিক ১৬ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল সাত লাখ ছাড়ায় মোট শনাক্ত। বুধবার সেই মোট শনাক্ত এসে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে।

এদিকে বুধবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৩ জনে। এর আগে মঙ্গলবার মারা যান ৯১ জন। এরও আগে পর পর দুইদিন ১০১ জনের মৃত্যুর পরই গত ১৮ এপ্রিল ১০২ জনের মৃত্যু হয়। যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here