ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের আশঙ্কায় ভারতের পূর্বাঞ্চলের উপকূল থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। মাত্র আট দিন আগে দেশটির পশ্চিম উপকূলে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় তাউতের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ক্ষত না শুকাতেই বুধবার প্রবল শক্তি নিয়ে ইয়াস আছড়ে পড়ার শঙ্কায় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে বেঁচে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। তবে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই আগেভাগে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার দুপুরে ইয়াস ‘আরও শক্তিশালী হয়ে’ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ইয়াস যখন আঘাত হানবে, তখন বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। এ সময় ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের উপপরিচালক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ওডিশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এলাকার মধ্যবর্তী যে কোনো এলাকায় আঘাত হানতে পারে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই দুই রাজ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।