‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথপরিক্রমা’ শ্লোগান সম্বলিত ২০২১-২২ ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি আওয়ামীলীগ সরকারের টানা ১৩তম এবং বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট।
বৃহস্পতিবার করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় সফলভাবে মোকাবলা করে মানুষের জীবন রক্ষা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ব্যাপারে পদক্ষেপ তৈরির ওপর গুরত্ব দিয়ে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বরাদ্দের বাজেট সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। এটি আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট উপস্থাপন।
এই বাজেটে করোনা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা, যোগাযোগ অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, কৃষি, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
এর আগে সংশোধিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে, যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা আহরণ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩৭ হাজার ১ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।