হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্যারাগুয়েকে পেনাল্টি শুট আউটে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠেছে পেরু।
ব্রাজিলের গোইয়ানিয়ার অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালের ম্যাচটি ছিল রোমাঞ্চে ঠাসা।
দশ জন খেলোয়াড় নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেছে প্যারাগুয়ে। দুইবার পিছিয়ে পড়েও তারা ম্যাচ নিয়ে গেছে ট্রাইব্রেকার পর্যন্ত। নির্ধারিত সময় ৩-৩ গোলে ড্র ছিল ম্যাচটি। তবে ভাগ্যের শিকে ছেড়েনি তাদের। গতবারের রানার্স আপদের কাছে পেনাল্টি শুট আউটে হারতে হল তাদের।
‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে একাদশ মিনিটে প্রথম গোল করে প্যারাগুয়ে। প্যারাগুয়ে ম্যাচের ১০ মিনিটে আদায় করে কর্নার। পরে ডি বক্সের জটলা থেকে গোল করেন প্যারাগুয়ে ডিফেন্ডার গুস্তাভো গোমেস।
১০ মিনিট পরই সমতায় আসে পেরু। রাইট উইং দিয়ে আক্রমণে উঠে আন্দ্রে কারিয়ো পাস দেন লাপাদুলাকে। বাঁ পায়ে নিঁখুত নিশানায় গোল করেন লাপাদুলা। এই লাপাদুলাই ৪০তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।ইয়োশিমার ইয়োতুনের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে প্যারাগুয়ের জাল খুঁজে নেন।
প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে বড় ধাক্কাটি খায় প্যারাগুয়ে। বল দখলের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে হাত দিয়ে আঘাত করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন গোলদাতা গোমেস।
তাতেও দমে যায়নি প্যারাগুয়ে। দশ জনের দল নিয়েও প্রাণপণে লড়ে গেছে গোটা ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে আবার কর্নার থেকে গোল আদায় করে নেয় প্যারাগুয়ে। পেরুর রক্ষণের দুর্বলতায় গোল আদায় করে নেনজুনিয়র আলোনসো।
ম্যাচের নাটকীয়তা এরপরই শুরু। পেরুর ইয়াতুনের শট প্যারাগুয়ের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। এগিয়ে যাওয়া পেরুর মিডফিল্ডার কারিয়ো পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে পেরুও ১০ জনের দলে পরিণত হয়।
আর সেই সুযোগে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সমতায় আসে প্যারাগুয়ে। এবারের গোলদাতা গাব্রিয়েল আভালোস।
পরে অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম বাতিল করায় ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে।