নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের ছয় মাস পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান রোববার নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত জরুরি অবস্থার অধীনে তিনি দেশটির নেতৃত্ব দেবেন।
মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং টেলিভিশনে এক রেকর্ড করা ভাষণে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি সুষ্ঠুভাবে বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচনের অঙ্গীকার করছি।’
এপি জানায়, একটি পৃথক ঘোষণায় সামরিক সরকার ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ এবং মিন অং হ্লাইংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের হটিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।
তখন জেনারেলরা বলেন, ২০০৮ সালের সামরিক সংবিধানের অধীনে এই উদ্যোগের অনুমতি দেওয়া আছে। সামরিক বাহিনী দাবি করে, গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ভোপে জালিয়াতির মাধ্যমে জয় অর্জন করেছে। তবে, এই অভিযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেয়নি তারা।
সামরিক সরকার গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে এবং নির্বাচনের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য একটি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করে।