শেষ পর্যন্ত বহুল আলোচিত অযোধ্যার(Ayodhya) বাবরি মসজিদ (Babri mosque) নিয়ে রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। মসজিদ যেখানে ছিল সেই স্থানে রামমন্দির নির্মাণ করার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে মুসলিমদের মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
Union Minister Nitin Gadkari on #AyodhyaJudgment: Everyone must accept the Supreme Court judgement and maintain peace. pic.twitter.com/qbHeripdnl
— ANI (@ANI) November 9, 2019
শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় বিচারপতি প্রধান বিচারক রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতির ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছেন।
আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ স্কিম তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যাতে বিতর্কিত বাবরি মসজিদের জমি মন্দির পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিতর্কিত বাবরি মসজিদের জমি বাদে নতুন মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যার ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনি ভিত্তিতেই জমির মালিকানা স্থির করা উচিত। বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা ঠিক করা সম্ভব নয়। তবে কাঠামো থেকেই কোনো দাবি করা যায় না। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল। তবে এএসআই এ কথা বলেনি, যে তার (বাবরি মসজিদ) নিচে মন্দিরই ছিল।
তিনি বলেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, সেগুলি নন ইসলামিক। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অধিকার দাবি করতে পারে না। বিকল্প জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। অন্যত্র ৫ একর জমি দেয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। তারা সেখানে মসজিদ তৈরি করতে পারবে।
এই রায় নিয়ে ভারতের প্রথানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় বলেন, “অযোধ্যা মামলায় রায় দিয়েছে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট। এই রায় কোনও পক্ষের জয় বা পরাজয় হিসেবে দেখা উচিত নয়। সে রাম ভক্তি হোক, বা রহিম ভক্তি, আমাদের একান্ত প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় ভক্তির ওপর জোর দেওয়া। শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষিত হোক”।
The Honourable Supreme Court has given its verdict on the Ayodhya issue. This verdict shouldn’t be seen as a win or loss for anybody.
Be it Ram Bhakti or Rahim Bhakti, it is imperative that we strengthen the spirit of Rashtra Bhakti.
May peace and harmony prevail!
— Narendra Modi (@narendramodi) November 9, 2019
অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জায়গা নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই দাবি করে আসছে । ১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা মসজিদটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন দাঙ্গায় দুই হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন।