বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফারুক আহমেদ নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
এর আগে আজ বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি বোর্ড সভায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন পাপন। এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিসিবিতে তার ১২ বছরের শাসনকাল।
২০১২ সালে সরকার মনোনীত সভাপতি হিসেবে প্রথমবারের মত বিসিবির দায়িত্ব নেন পাপন। পরে ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি। এরপর ২০১৭ এবং ২০২১ সালের দু’বার নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিসিবির সভাপতি পদে বহাল থাকেন পাপন।
২০২৫ সালের অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হবার কথা ছিল পাপনের। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার পর সব কিছুতেই পরিবর্তন শুরু হয়। সেই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে কদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস।
ফারুক আহমেদের ক্রিকেট জীবনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমেদ। তিনি একাধারে একজন খেলোয়াড়, অধিনায়ক এবং প্রশাসক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদান রেখেছেন।
- খেলোয়াড় ও অধিনায়ক: ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফারুক। একজন দক্ষ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি দেশের হয়ে বিভিন্ন ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
- প্রধান নির্বাচক: দুইবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক।
- প্রথম মেয়াদ: ২০০৩-২০০৭ সালে প্রথম মেয়াদে প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে দলে সুযোগ দিয়েছিলেন।
- দ্বিতীয় মেয়াদ ও পদত্যাগ: ২০১৩-২০১৬ সালে আবারও প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তৎকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দুই স্তরের নির্বাচন প্যানেল গঠন করলে তিনি পদত্যাগ করেন।