সদ্য প্রণীত ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর। শুক্রবার সংস্থাটি মুসলিমদের বাদ দিয়ে এই আইন প্রণয়নকে ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। একই সাথে আইনটি পূণর্বিবেচনা করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
রয়টার্সে জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে- ভারতের নতুন নাগরিকত্ব(সংশোধনী) বিল ২০১৯ মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার পর থেকে ভারত জুড়ে যা ঘটছে, আমরা তার উপরে কড়া নজর রাখছি। যে কোনও গণতন্ত্রের মৌলিক আদর্শ হওয়া উচিত ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আইনের চোখে সমান বিচার।’
তার কথায়, ‘আমেরিকার মতে, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করা উচিত ভারতের।’
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র শুক্রবার জানান, ভারতের নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার জেরে যা যা ঘটতে পারে, তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছে তারা। তাদের বক্তব্য, কিছু নৈতিক মূল্যবোধ রয়েছে জাতিসঙ্ঘের। তার মধ্যে অন্যতম মানবাধিকার। সেই মানবাধিকার যাতে কোনও ভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয়, দিল্লিকে সে বিষয়ে জোর দিতে হবে।