চীনের উহান শহর থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস বিশ্বের ৭৫ টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে । আমেরিকা, কুয়েত, কাতার, ইরান, হংকং, জাপান, ইতালি সহ বিশ্বের প্রায় ৯০,০০০ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তিন হাজারেরও বেশি মানুষ এই মারাত্মক ভাইরাস দ্বারা প্রাণ হারিয়েছেন।
The best protection against coronavirus is washing your hands — but you have to do it properly:
🚿 Wet your hands
🚿 Lather, making sure to get soap in all the nooks and crannies
🚿 Scrub for *20 seconds*
🚿 Rinse and *dry thoroughly*https://t.co/VcqeJMdyrd
— CNN International (@cnni) March 9, 2020
আরো পড়ুন:
- করোনাভাইরাস: WHO বিশেষজ্ঞের মতে মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম
- করোনাভাইরাসের লক্ষণ ও সুরক্ষা, নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
এখনও এই ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি । তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কয়েকটি মৌলিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যা মেনে চলে আমরা নিজেদেরকে এই সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে পারি।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই নির্দেশনাগুলো:
নিয়মিত হাত ধোয়া: দিনে কমপক্ষে কয়েকবার ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত ধুয়ে নিন। এখন সবার করণীয় নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া। নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুলে করোনামুক্ত থাকা সম্ভব।
লোকালয় থেকে দূরে থাকুন: যতটা সম্ভব হাটবাজার কিংবা লোকালয় এরিয়ে চলুন। যেহেতু এই রোগ ছোয়াচে তাই চারপাশের লোকজনের সাথে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। নিউমনিয়া কিংবা জ্বরে আক্রান্ত লোকদের এড়িয়ে চলুন।
মাস্ক ব্যবহার করা উচিত: ঘরের বাইরে ধুলাবালু থেকে হাঁপানি, অ্যালার্জি ও খুসখুসে কাশি, হাঁচি থেকে ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধের প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তবে মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা উচিত, তা না হলে এটার ভুল ব্যবহারে আরো ক্ষতি হতে পারে ।
বারবার নাক, মুখ এবং চোখ স্পর্শ করবেন নাঃ অনেক লোক প্রায়ই নাক, মুখ এবং চোখের দিকে হাত রাখে। আপনার যদি এই অভ্যাস থাকে তাহলে আজই এটা পরিত্যাগ করুন । কারণ হাতের তালুতে থাকা ভাইরাস নাক, মুখ বা চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
হাঁচি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন: হাঁচি বা কাশির সময় নাক এবং মুখ টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং সঙ্গে সঙ্গে এই টিস্যুটি ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
জ্বর, কাশি বা ঠান্ডা হলে: আপনার যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। যত সম্ভব বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন এবং দ্রুতকোনও চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করুন ।
মোবাইলের স্ক্রিনটি পরিষ্কার রাখুন: আমাদের স্মার্টফোন স্ক্রিনে ‘মেথিসিলিন-রেজিসট্যান্ট স্টাফিলোকোকাস (এমআরএসএ) নামে এক জীবাণু রয়েছে যা দেহের বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যধি তৈরী করতে পারে। এই জীবাণুর সংক্রমণে শরীরে ব্যথা, রক্তপ্রবাহ, ফুসফুস এবং মূত্রনালীতে প্রদাহও সৃষ্টি করতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনার স্মার্টফোনটি পরিষ্কার করার জন্য জীবাণুনাশক কিছু ব্যবহার করুন।