ক্রিকেটারদের বেতন বেড়েছে। কিন্তু কত ভাগ বেড়ে কত টাকা হয়েছে? কোন ক্যাটাগরির ও কোন ফরম্যাটের ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন কত হলো? তা অজানাই ছিল। বৃহস্পতিবার ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান গণমাধ্যমকে শুধু এতটুকুই নিশ্চিত করেছেন, গড়পড়তা ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছে এবার।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘আমরা উৎসাহিত করছি ভালো খেলোয়াড়রা যেন আর্থিক সমর্থন পায়। আমরা তিনটা ফরম্যাটকে ভাগ করেছি। যে যত বেশি ফরম্যাট খেলবে, তত বেশি টাকা পাবে।’
আকরাম যোগ করেন, ‘ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যাটাগরি অনুযায়ী। যতগুলো ক্যাটাগরি আছে, আমরা ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বাড়িয়েছি।’
জানা গেছে- যারা টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি; তিন ফরম্যাটেই আছেন তাদের মধ্যে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন দাঁড়াবে ৮ লাখ টাকার ওপরে।
আর যারা এবারই প্রথম চুক্তির আওতায় এসেছেন, তাদের সর্বনিম্ন বেতন হবে দেড় লাখ টাকার কিছু কম। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান এ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
তিন ফরমেটেই আছেন পাঁচ ক্রিকেটার-সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে লিটন আর তাসকিন আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলেও বেতন কম ছিল অনেক। শরিফুল তো এবার মাত্র অন্তর্ভুক্ত হলেন। তাই তাদের বেতন ৮ লাখ টাকা হবে না।
তবে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহীম ৮ লাখ টাকার ওপরে পাবেন। তিন ফরমেটে থাকা বাকি তিনজন পাবেন তাদের তুলনায় কম বেতন (নির্দিষ্ট অংকটা জানা যায়নি, তবে ম্যাচ সংখ্যা ম্যাচ সংখ্যার সঙ্গে ক্যাটাগরি হিসেবে তারা পরের ক্যাটাগরির চেয়ে বেশিই পাবেন)।
এদিকে এবার যারা প্রথম চুক্তিতে এসেছেন, তাদের মধ্যে শরিফুল ছাড়া (তিন ফরমেটেই থাকায় শরিফুল অনেক বেশি পাচ্ছেন) নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদি হাসান, শামিম পাটোয়ারীরা পাবেন দেড় লাখের কিছুটা কম।
একই ফরম্যাটে চুক্তিতে থাকলেও বেতন যে কম-বেশি হবে, সেটার ব্যাখ্যাও আছে আকরামের। তিনি বলেন, ‘যারা বেশি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে, তাদেরকে আমরা ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে রেখেছি। তারপর ‘এ’ আছে, ‘বি’ আর ‘সি’ আছে। এটা মূলত ম্যাচের উপর, যে যত বেশি খেলেছে, তাদের ‘এ’ প্লাস ধরেছি। যারা নতুন এসেছে, তাদের আমরা ধরেছি ‘রুকি’ হিসেবে। এভাবেই আমরা করেছি।’
পাঁচটি ভাগে ভাগ করা চুক্তিতে ২৪ ক্রিকেটার যে যেখানে-
তিন ফরম্যাট: মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
শুধুমাত্র টেস্ট: মুমিনুল হক সৌরভ, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও এবাদত হোসেন চৌধুরী।
টেস্ট ও ওয়ানডে: তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।