২০২৪ সালের ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, ও টেস্ট সিরিজের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সময়সুচি অনুযায়ী এই বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিপিএল-নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। ১লা মার্চবিপিএলফাইনালের পর ঘরের মাটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগার বাহিনী।
আইসিসি’র নতুন এফটিপি অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সময়সূচি ( Bangladesh cricket Fixtures 2024, test, One day, T20, date Time)
- ১৪টি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে এবং ১৭টি টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০ বিশ্বকাপ সহ) নিয়ে ব্যস্ত বছর।
- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (জানুয়ারী-মার্চ) পর শুরু হবে।
- টি২০ বিশ্বকাপের (জুন) আগে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সফর (ফেব্রুয়ারি-মে)।
- আফগানিস্তান সিরিজ (জুলাই), তারপর পাকিস্তান ও ভারত সফর (আগস্ট-অক্টোবর)।
- দক্ষিণ আফ্রিকা সফর (অক্টোবর-নভেম্বর), তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর (নভেম্বর-ডিসেম্বর)।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- এক বছরে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা হবে (১৪টি)।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ।
- শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের সিরিজ।
- পাকিস্তান, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সময়সূচি ২০২৪ঃ
বিপিএলঃ ২০২৪ সালের শুরুতেই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। আগামী ১৯ জানুয়ারি সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে শুরু হবে। মোট ৪৬ ম্যাচের টুর্নামেন্ট আগামী ১লা মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট।
সিরিয়াল | সময়কাল | সিরিজ | সিরিজের বিবরণী | স্থান |
১ | ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০২৪ | শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ সফর | ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি২০ | বাংলাদেশ |
২ | এপ্রিল ২০২৪ | জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ সফর | ২ টেস্ট, ৫ টি২০ | বাংলাদেশ |
৩ | জুন ২০২৪ | আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র | – |
৪ | জুলাই-আগস্ট ২০২৪ | বাংলাদেশ আফগানিস্তান সফর | ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি২০ | আফগানিস্তান |
৫ | আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০২৪ | বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর | ২ টেস্ট | পাকিস্তান |
৬ | সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০২৪ | বাংলাদেশ ভারত সফর | ২ টেস্ট, ৩ টি২০ আই | ভারত |
৭ | অক্টোবর-নভেম্বর ২০২৪ | দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ সফর | ২ টেস্ট | বাংলাদেশ |
৮ | নভেম্বর ২০২৪ | বাংলাদেশ – আফগানিস্তান | ৩ টি ওয়ানডে | শারজাহ |
৮ | নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০২৪ | বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর | ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি২০ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম অংশ নেয় কত সালে?
১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পূর্ণ অভিষেক হয়। ১৯৯৭ সালে, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় আইসিসি ট্রফি জিতেছিল এবং ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে অংশগ্রহণের জন্য প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ২৬ জুন ২০০০-এ, বাংলাদেশকে পূর্ণ আইসিসি সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল।
১. প্রশ্ন: আসন্ন সিরিজে কি বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাতে পারবে?
উত্তর: এটা অনেকটা [প্রতিপক্ষ] দলের উপর এবং বাংলাদেশের বর্তমান ফর্মের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ শীর্ষ দলগুলোকে হারানোর ক্ষমতা দেখিয়েছে, কিন্তু খেলায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কষ্ট হয়। সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স এবং খেলোয়াড়দের ফিটনেস বিশ্লেষণ করে একটা সঠিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
২. প্রশ্ন: সর্বকালের সেরা বাংলাদেশী ক্রিকেটার কে?
উত্তর: এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, তবে সাকিব আল হাসান এগিয়ে থাকা একজন খেলোয়াড়। তার অল-রাউন্ডার দক্ষতা, দীর্ঘদিন খেলা এবং অসংখ্য রেকর্ড তাকে এগিয়ে রেখেছে। তবে তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রাহিমের মতো খেলোয়াড়দেরও উল্লেখ করা যায়।
৩. প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুর্বলতা কি কি?
উত্তর: ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামা এবং সব ফরম্যাটে অসামঞ্জস্যতা হলো বাংলাদেশের কিছু সাধারণ দুর্বলতা। বোলিং আক্রমণে কখনো কখনো কৌশলের পরিবর্তন থাকে না, ফিল্ডিংয়েও মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায়।
৪. প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেটের উঠতি তারকা কে?
উত্তর: বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক প্রতিশাবাদী তরুণ খেলোয়াড় আছে। মেহেদী হাসান মিরাজ (অল-রাউন্ডার) বা শরিফুল ইসলাম (ফাস্ট বোলার) এর মতো উঠতি খেলোয়াড়দের খেলা লক্ষ্য রাখুন।
৫. প্রশ্ন: বাংলাদেশ কিভাবে তাদের ব্যাটিং/বোলিং/ফিল্ডিং উন্নত করতে পারে?
উত্তর:
- ব্যাটিং: সুইং বোলিংয়ের বিরুদ্ধে আরও ভালো টেকনিক এবং চাপের মুখে সামাল দিতে পারা।
- বোলিং: পেস এবং স্পিনে আরও বৈচিত্র্য আনা, এবং প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বোলিং করা।
- ফিল্ডিং: আরও ভালো ক্যাচিং এবং গ্রাউন্ড ফিল্ডিং এর মাধ্যমে ভুল কমানো।
৬. প্রশ্ন: একজন ক্রিকেট কোচ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উপর কি প্রভাব ফেলতে পারে?
- কৌশলঃ
খেলোয়াড়দের দক্ষতা বৃদ্ধি: কোচ খেলোয়াড়দের প্রযুক্তিগত দিকগুলো উন্নত করতে, তাদের দুর্বলতা দূর করতে এবং তাদের খেলার ধরণকে আরও পরিশীলিত করতে সাহায্য করতে পারেন।
দলের জন্য কৌশল তৈরি: বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর কৌশল তৈরি করা এবং খেলোয়াড়দের সেই কৌশল বাস্তবায়নে সাহায্য করা কোচের দায়িত্ব।
মানসিক দৃঢ়তা: খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি এবং চাপের মুখে খেলার ক্ষমতা তৈরি করতে কোচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- নেতৃত্ব:
অনুপ্রেরণা: কোচ খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে পারেন এবং তাদের সেরাটা খেলার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।
পরিবেশ তৈরি: কোচ দলের মধ্যে একটি ইতিবাচক এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পারেন।
সমালোচনা: কোচ খেলোয়াড়দের রচনাত্মক সমালোচনা প্রদান করতে পারেন যা তাদের উন্নতিতে সাহায্য করে।
- অন্যান্য:
খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন: কোচ নিয়মিত খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করতে পারেন এবং তাদের উন্নতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
প্রযুক্তি ব্যবহার: কোচ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন এবং তাদের খেলার বিভিন্ন দিক উন্নত করতে পারেন।
অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি: অভিজ্ঞ কোচ তাদের অভিজ্ঞতা খেলোয়াড়দের সাথে ভাগ করে নিতে পারেন যা তাদের দ্রুত উন্নতিতে সাহায্য করে।
কোচের ভূমিকা কেবল খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাদের সম্ভাব্যতা বের করে আনতে এবং তাদের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
***উল্লেখিত বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সময়সুচি পরিবর্তন হতে পারে। কারণ, ক্রিকেট একটি পরিবর্তনশীল খেলা। আবহাওয়া, আঘাত, বা অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে ম্যাচ বা সিরিজের তারিখ বা স্থান পরিবর্তন হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট সংক্রান্ত খবর বিসিবি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।