আগেই ছিটকে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচে একাদশে জায়গা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। গত ১৮ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সবশেষ আইপিএল খেলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। কলকাতার তৃতীয় ম্যাচ খেলার পর থেকে উপেক্ষিত থেকেছেন সাকিব। অবশেষে লিগের ১৩তম ম্যাচে এসে তাকে নিয়ে মাঠে নামছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে কলকাতা।
অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ইনজুরিতে পড়লে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সাকিবকে কলকাতার একাদশে দেখার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু ওই দিন অভিষেক হয় পেসার টিম সাউদির। পরের ম্যাচ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে পেসার লোকি ফার্গুসন বাদ পড়লে আবারও বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে নিয়ে আশা জেগেছিল ভক্ত-সমর্থকদের। কিন্তু না, ওই ম্যাচেও নেই সাকিব! ফার্গুসনের বদলে নামা টিম সেইফার্ট ৫ উইকেটে হারের ম্যাচে আশাহত করলে বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে একাদশে ফেরানোর ইঙ্গিত দেন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। নিউ জিল্যান্ডের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের বদলেই জায়গা হয়েছে সাকিবের। মাত্র ২ রান করেছিলেন সেইফার্ট।
কলকাতা ১২ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ খেলার নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে চার নম্বরেই আছে। কিন্তু শেষ দুটি ম্যাচ না জিততে পারলে বিপদই হতে পারে। সমান খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে কলকাতার পরে পাঞ্জাব, রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মানে চার দলেরই সমান সুযোগ আছে প্লে অফ খেলার। শেষ ম্যাচে কলকাতা খেলবে রাজস্থানের বিপক্ষে।
আইপিএলের শুরু থেকে অবশ্য সাকিব নিয়মিত খেলেছেন। তবে তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল না। তিন ম্যাচে করেন মাত্র ৩৮ রান, বল হাতে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন। তার জায়গায় আসা সুনীল নারিন বড় কিছু করতে না পারলেও কলকাতা ম্যাচ জেতায় সাকিবের দলে ফেরা হয়নি। ৯ ম্যাচ পর ফিরলেন তিনি একাদশে। এখন কলকাতার সংকটময় মুহূর্তে সাকিব এসে নায়কোচিত ভূমিকা রাখতে পারেন কি না সেটাই দেখার।