গত মাসেই অনুরাগীদের চমকে দিয়ে সাবেক অভিনেত্রী তথা বিগ বস প্রতিযোগী সানা খান বিয়ে করেছেন। গুজরাটের ব্যবসায়ী মাওলানা আনাস সাঈদকে বিয়ের পর সদ্য কাশ্মীরে হানিমুনও করতে গিয়েছিলেন। প্রেমের জোয়ারে ভেসে সেই সমস্ত বরফে খেলার ছবি পোস্টও করেছেন সানা।
কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, আল্লাহর পথে চলার কথা বলা সানা কেন বিয়ে করলেন? পরিবারের চাপে নয় তো! কিন্তু জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে সানা জানিয়েছেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত রাতারাতি হয়নি। বরং আজীবন আনাসের মতোই মানুষকেই প্রার্থনা করেছেন তিনি।
বম্বে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সানা স্বীকার করেছেন, “আনাসকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। আমি ওঁর মতো মানুষকে সারাজীবন ধরে চেয়েছি। ওঁর সবচেয়ে যে জিনিসটা আমার ভাল লাগে সেটা হল ওঁর ভদ্রতা। ওঁ লাজুক। কিন্তু মোটেও জাজমেন্টাল নয়।”
তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ও তার স্বামীকে বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, “আমার স্বামী একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ। আমার তো ওঁকে খুব সুন্দর দেখতে মনে হয়। অন্যের নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমার কিছু যায় আসে না।”
সানা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে আনাসের সঙ্গে মক্কায় সাক্ষাৎ হয় তার। তারপরের বছরও দেখা হয়। তারপর যোগাযোগ হয়। আনাসের কাছে শুনেই ইসলামে আকৃষ্ট হন অভিনেত্রী। এরপর চলতি বছর ফের তাদের দেখা হয় এবং তখনই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে।
আনাস সাঈদ যিনি একজন ইসলামিক স্কলার, নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করছেন সানার সঙ্গে বিয়ের পর। তিনি বম্বে টাইমসকে বলেছেন, “আমি মনে করি না অন্য কাউকে বিয়ে করলে এর চেয়ে বেশি খুশি হতাম। সানার মন পরিষ্কার, ভাল মনের মানুষ। আমি বরাবরই এমন একজন মেয়েকে জীবনে চেয়েছিলাম যে আমাকে সম্পূর্ণ করবে। মানুষ তাও আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কীভাবে একজন অভিনেত্রীকে আমি বিয়ে করলাম! কিন্তু এরা ছোট মনের মানুষ। আমার জীবন নিয়ে অন্য কারও পরামর্শ শুনব না।”