আইনজীবীর উদ্দেশে পরীমণি বলেছেন, আপনারা আমার জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি!
শনিবার (২১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে পরীমণিকে নেওয়া হয়। মাদক দ্রব্য আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এ সময় আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন অভিনেত্রী। তিনি নিজের আইনজীবীর উপর কিছুটা বিরক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
অভিনেত্রী আরও বলেন, আপনারা জামিন চান, আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? আমি তো পাগল হয়ে যাব! আপনারা বুঝতেছেন আমার কী কষ্ট হচ্ছে?
এদিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
আবেদনে তিনি বলেন, এ মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ডে পরীমণি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। তাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এর আগে বনানী থানার মাদক দ্রব্য আইনের মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে হাজির করা হয়। ১১টা ৫০ মিনিটে পরীমণিকে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয় থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়। শুনানি শেষে বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে এ আদেশ দেন বিচারক। মামলার শুনানির সময় আদালত এলাকায় নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।
গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব সদরদফতর থেকে পরীমণিকে বনানী থানায় নেওয়া হয়। পরে তাকে বনানী থানায় হাস্তান্তর করে র্যাব। এরপর বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে। এর আগে গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।