ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল আর নেই। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
কলকাতায় ১৯৫৮ সালে জন্ম নেয়া তাপস পাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হুগলী মহসিন কলেজ থেকে জীববিজ্ঞানে গ্র্যাজুয়েট করেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। সে বছর তার প্রথম সিনেমা ‘দাদার কীর্তি’ মুক্তি পায়। এরপর একের পর এক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি।
শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাপসের। যে কারণে খুবই অল্প বয়সে সাফল্যও লাভ করেন চলচ্চিত্রে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, মায়া মমতা’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘সমাপ্তি’, ‘চোখের আলো’, ‘অন্তরঙ্গ’ ইত্যাদি।
এছাড়া ‘গুরুদক্ষিণা’ সিনেমায় অভিনয় তাকে বাংলা সিনেমায় অমরত্ব দিয়েছে। ‘সাহেব’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৮১ সালের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও লাভ করেন তিনি।
বাংলা চলচ্চিত্র ছাড়াও বলিউডের হিন্দি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন তাপস পাল। ‘অবোধ’ নামের সেই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত।
শুধু অভিনয় নয় রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তাপস পাল। ২০০৯ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনের কিছু দিন আগে একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তাপস পাল। আর ২০১৬ সালের শেষের দিকে রোজভ্যালি নামে একটি চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারও হন তিনি।