করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফকির আলমগীর মারা গেছেন । তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে কোভিড ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হয়ে তিনি মারা যান । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গত ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পরই ১৫ জুলাই রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার রক্ত ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া গেছে। তার ডান ফুসফুস সংক্রমণমুক্ত থাকলেও বাম ফুসফুস ভাইরাস মুক্ত হয়নি ।
পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। টানা ৪ দিন করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে গেছেন তিনি।
ফকির আলমগীর একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। এর আগে গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি। পরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী।
এছাড়াও নব্বইয়ের দশকে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধে গড়ে উঠা সাংস্কৃতিক সংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেও তিনি যুক্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি এই সংগঠনের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা।
সংগীতে তার নিরবচ্ছিন্ন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।