লিওনেল মেসি ফ্যাক্টস, রেকর্ড, অ্যাওয়ার্ড
Photo Credit: Twitter

রেকর্ড ও অ্যাওয়ার্ড মিলে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে লিওনেল মেসি একজন। তার নেতৃতে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয় করে আলবিসেলেস্তে সমর্থকদের চাওয়া পূরণ করেছে। মেসি এখন খেলেন পিএসজি ক্লাবের হয়ে। তার এই ফুটবল ক্যারিয়ারে অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, গোলের রেকর্ড করেছেন, পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার।তবে এই তারকার এ পর্যন্ত উঠে আসার গল্পটা খুব সহজ ছিল না ।

আরও খবর:

মেসির জন্মস্থান, বয়সঃ

১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার নাম রাখা হয় লিওনেল অ্যানড্রেড মেসি। তার বাবা ছিলেন হোর্হে হোরাসিও মেসি যিনি কিনা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। আর তাঁর মা সিলিয়া মারিয়া কুচিত্তিনি।

মেসি যখন ছোট ছিলেন, তখন থেকেই ফুটবলে ছিলেন দারুণ পারদর্শী। তবে আর দশটা স্বাভাবিক বাচ্চার মতো তিনি বেড়ে উঠছিলেন না। সমস্যাটা ছিল তার হরমোনে। কিন্তু, ছেলের চিকিৎসা করাবেন সে রকম সামর্থ্য ছিল না মেসির বাবার।

পরে একদিন ছেলের ফুটবল খেলার ভিডিও ধারণ করে, তা এক বন্ধুর সাহায্যে বার্সেলোনা ক্লাবে পাঠিয়ে দেন। বার্সেলোনা ক্লাব মেসির খেলা দেখে সাথে সাথে তাকে বার্সায় ডেকে পাঠান। ১৩ বছর বয়সে মেসি পাড়ি জমান স্পেনে। আর তাঁর চিকিৎসার পুরোটা খরচ বহন করে বার্সেলোনা। মাসে ৯০০ ডলারের একেকটি ইনজেকশন নিতে হতো মেসিকে।

লিওনেল মেসি কত সালে ফুটবল খেলা শুরু করেন?

লিওনেল মেসি খুবই কম বয়স থেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছিলেন। তবে, কোন নির্দিষ্ট বছরকে তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু বলে ধরা হয়, তা নির্দেশ করা একটু কঠিন। কারণ:

  • প্রাথমিক দিন: মেসি খুব ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় ক্লাবগুলোতে ফুটবল খেলতেন। তবে, এই সময়গুলোকে পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু বলা যায় না। মাত্র চার বছর বয়সে মেসি তার আশেপাশের এলাকার একটি স্থানীয় ক্লাব, Abanderado Grandoli ফুটবল খেলা শুরু করেন। তার নানি, Celia Oliveira Cuccittini ছোট্ট লিওকে ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলতে উৎসাহিত করেন।
  • যুব দল: মেসি বার্সেলোনার যুব দলে যোগ দিয়ে তার প্রতিভা প্রমাণ করেছিলেন। তবে, এটিও পুরোপুরি পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু নয়।
  • প্রথম দল: মেসি যখন বার্সেলোনার প্রথম দলে ডাক পান এবং নিয়মিত খেলতে শুরু করেন, তখন থেকেই তার পেশাদার ক্যারিয়ারের গণনা শুরু করা হয়।
  • প্রথম পেশাদার ম্যাচ: মেসি তার প্রথম পেশাদার ম্যাচ খেলেন ১৭ বছর বয়সে ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর পোর্তোর বিরুদ্ধে। তিনি ২০০৩-০৪ মৌসুমে বার্সেলোনা বি দলের হয়ে খেলেন। তাকে ২০০৪-০৫ মৌসুমের জন্য এ দলে উন্নীত করা হয় এবং তিনি তার লা লিগা ডেবিউ করেন ১৬ অক্টোবর ২০০৪ তারিখে এস্পানিওলের বিরুদ্ধে সাবস্টিটিউট হিসাবে।

সাধারণভাবে, ২০০৪ সালকে মেসির পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু বলে ধরা হয়। এই বছরেই তিনি বার্সেলোনার হয়ে প্রথম দলের হয়ে নিয়মিত খেলতে শুরু করেন এবং তার অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে সবার নজর কাড়েন।

বার্সেলোনায় মেসির অভিষেকঃ

২০০৩ সালের নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখ প্রথমবারের মতো দলে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর চার মাস ২৩ দিন। তবে সেট কোন অফিসিয়াল ম্যাচ ছিল না।

তার ঠিক ১১ মাস পর, ১৬ অক্টোবর ২০০৪ সালে এসপানিওলের বিপক্ষে খেলে বার্সেলোনায় আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয়। তখন তার বয়স ১৭ বছর, তিন মাস ২২ দিন। সেই ম্যাচে মেসি কোন গোল করতে পারেনি, তবে ১-০ গোলে বিজয়ী হয় বার্সেলোনা।

মেসি কবে PSG-তে যোগ দেনঃ

মেসি ২০২১ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন। তার প্রথম মৌসুমে তিনি ৩৪টি ম্যাচে ১১বার গোল করেছেন।

মেসির হ্যাটট্রিক কয়টি:

৬০টি হ্যাটট্রিক নিয়ে এখনও সবার উপরে আছেন পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এরপরেই আছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। তিনি এখন পর্যন্ত করেছেন ৫৬টি। তার সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক এসেছে বার্সেলোনা থেকে।

প্রতিযোগিতা  হ্যাট্রিক
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ৮টি
স্প্যানিশ লা লিগা৩৬টি
কোপা ডেল রে৩টি
স্প্যানিশ সুপার কাপ১টি
আর্জেন্টিনা  – আন্তর্জাতিক ম্যাচ৯টি

 

খেলার পাশাপাশি ২০০৭ সালে ২০ বছর বয়সী মেসি প্রতিষ্ঠা করেন কিছু সংস্থা। শিশুদের অগ্রগতির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকশন নেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসায়-ও অবদান রাখেন তিনি। লিওনেল মেসিকে ২০১০ সালে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।

২০০৮ সালে বেইজিং-এ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হলে, সেখানে বড় একটা ভূমিকা রাখেন মেসি। তিনি নিজের দেশ আর্জেন্টিনাকে স্বর্ণপদক জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

মেসি বিশ্বকাপে কয়টি গোল করেনঃ

পাঁচটি সংস্করণে (২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ এবং২০২২) লিওনেল মেসি ফিফা বিশ্বকাপে ২৬ ম্যাচে ১৩টি গোল করেছেন। এগুলোর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপে ১টি, ২০১৪ বিশ্বকাপে ৪টি, ২০১৮ বিশ্বকাপে ১টি এবং সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৭টি গোল করেন। ২০১০ বিশ্বকাপে তিনি কোনও গোল না করতে পারেননি।

lionel messi
Photo Credit: Twitter

মেসির গোলঃ

২০২২ সালের বিশ্বকাপ ও ক্লাব ফুটবলে মিলিয়ে মেসি ১,০১৭টি গেম, ৮০৩টি গোল। কাতার বিশ্বকাপে এবার ৭টি গোল করেছেন মেসি। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে এ নিয়ে আর্জেন্টিনার ২১টি গোলে ভূমিকা রাখলেন মেসি – ১৩টি গোল নিজে করেছেন ও ৮টি অ্যাসিস্ট।

এর মধ্যে দেশের হয়ে ১৭৪টি ম্যাচ খেলে ১০২টি আন্তর্জাতিক গোলও রয়েছে। এছাড়া একক ক্লাবের ( বার্সেলোনা) হয়ে একজন খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিক ৬৭২টি গোল করেছেন।

এই গোলের ফলে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে যান মেসি। বিশ্বকাপে বাতিস্তুতা গোল করেছিলেন ১০টি গোল।

২০১১ থেকে ২০১২ বর্ষে লিও মেসি নতুন রেকর্ড গড়েন। সেবার এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করার জন্য ইউরোপীয় লীগে রেকর্ড গড়েন। সেবার তিনি করেছিলেন ৭৩ গোল।

মেসির স্ত্রী আন্তেনেলা রোকুজ্জোঃ

ব্যাক্তিগত জীবনে লিওনেল মেসি বর্তমানে বিবাহিত। এবং তার তিনটি সন্তান আছে। লিও মেসির বউ হলেন আন্তেনেলা রোকুজ্জো। অবশ্য তার সাথে মেসির পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। লিওনেল মেসি ও আন্তোনেলা রোকুজ্জোর বিয়ে হয় ২০১৭ সালে। তাদের দুজনের মোট ৩ টি সন্তান আছে। তাদের নাম হলো মাতেও মেসি, থিয়াগো মেসি ও ক্রিও মেসি।

মেসি এবং তাঁর বাবার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ:

কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল মেসি ও তাঁর বাবাকে। স্পেনের আদালত ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৪১ লাখ ইউরো (৪.১ মিলিয়ন ইউরো) ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছিলেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

বিবিসির খবের বলা হয় যে, মামলা থেকে রেহাই পেতে মেসি এবং তার বাবা ২০১৩ সালে পঞ্চাশ লাখ ইউরো বাড়তি কর দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষের মামলা থেকে রেহাই পাননি।

আদালতে মেসিকে ২০ লাখ ইউরো ও তার বাবাকে ১৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর মেসির ২১ মাসের কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখে তাঁর বাবার শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছে ১৫ মাস।

সরকারি আইনজীবীদের অভিযোগ, বেলিজ ও উরুগুয়েতে নিবন্ধিত কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে মেসির ইমেজ স্বত্ব থেকে পাওয়া আয় গোপন করা হয়।

মেসি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার আর্থিক বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সব দেখেন তার বাবা হোর্হে হোরাসিও। তিনি সব সময় শুধু ফুটবল খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

তবে, রায় যাই হোক না কেন তাদেরকে কারাগারে যেতে হয়নি। স্পেনের নিয়ম অনুযায়ী, শাস্তির মেয়াদ দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে অভিযুক্তরা জেলের বাইরে থাকতে পারেন ।

পুনরায় আন্তর্জাতিক দলে ফিরে আসা:

মেসি ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেন। সেবার ফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও চিলি। তবে পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত হেরে যায়। তখন মেসি ঘোষণা করেন, তিনি আর আন্তর্জাতিক দলে ফুটবল খেলবেন না। তবে তখন মেসি ভক্তের সংখ্যা অনেক। সে বছরের আগস্ট মাসে মেসি আবারো ঘোষণা করেন, তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক দলে খেলবেন, এবং এভাবে মেসি পুনরায় আন্তর্জাতিক দলে ফিরে আসেন।

ক্লাব বদল:

একদম ছোট থাকাকালীন সময়ে আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের নিওয়েলস ওল্ড বয়েস এর লোকাল ক্লাবে খেলতেন মেসি৷ এরপর তিনি বার্সেলোনা ক্লাবে যোগ দিতে স্পেনে পাড়ি জমান। বার্সেলোনার সাথে ২০২১ সালের আগস্ট মাসের ৫ তারিখ মেসির চুক্তি শেষ হয়। এরপরে মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি ক্লাবে যোগ দেন। পিএসজি লিওনেল মেসিকে ২ বছরের চুক্তিতে নেয়।

বিশ্বকাপের আগেই কোভিড পজিটিভ:

২০২২ সালের জানুয়ারীতেই মেসির কোভিড ধরা পড়ে। সুস্থ হওয়ার পরে মেসি জানান করোনা তার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে ফুসফুসে। ফুসফুস জনিত কিছু সমস্যার জন্য প্রায়  দেড় মাস সময় ধরে তিনি দৌড়ানো থেকেও বিরত ছিলেন। মেসি করোনায় আক্রান্ত থাকার জন্য সে সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যোগদান করতে পারেননি।

মেসির কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ জয়:

লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ২০২১ সাল ও ২০২২ সালে। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা জয় মেসির জন্য অনন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। তাছারা, ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতিয়ে দেয়ার পেছনে মেসির অবদান ছিল অপরিহার্য।

কোপা আমেরিকা:

২০২১ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেন লিওনেল মেসি। তবে সেটাই ছিল সম্ভবত তার ক্যারিয়ারের শেষ কোপা আমেরিকা। সেবার ব্রাজিলকে হারিয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২:

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার যাত্রা শুরু হয়েছিল সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে। এরপরের প্রতিটি ম্যাচই আর্জেন্টিনার জন্য ছিল ফাইনাল স্বরূপ। তবে সব বাঁধা কাটিয়ে উঠে ফাইনালের মূল মঞ্চে ওঠে আর্জেন্টিনা। আর ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলে টাইব্রেকারে জয় হয় আর্জেন্টিনার। টানা ৩৬ বছর পর শিরোপা জেতায় দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সই ছিল অনবদ।তবে মেসি ছিলেন এবারের উজ্জ্বল তারকা। বয়স কাবু করতে পারেনি তাকে। এবার মোট ৫ টি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের তকমা পান তিনি। আর শেষমেষ জিতে নেন ২য় বারের মতে গোল্ডেন বল। এর আগে ২০১৪ সালের ফাইনালে গোল্ডেন বল বিজয়ী হয় মেসি।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক হিসেবে এটা তাঁর জন্য গর্বের একটি বিষয়।

লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ড:

লিওনেল মেসি তার জীবনে অনেক কিছুই অর্জন করেছন। বাকি ছিল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা। এবার সেটাও স্পর্শ পেল লিও মেসির। জীবনে তাঁর অর্জন দিয়ে নতুন নতুন রেকর্ডও গড়েছেন।

মেসির অন্যান্য অ্যাওয়ার্ড:

ব্যালন ডি’অর:

৭ বার ব্যালন ডি’অর জয়ী। তার পরে আছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০০৯ সাল থেকে টানা ২০১২ সাল পর্যন্ত ৪ বার ব্যালন ডি’অর পান মেসি। এরপর ২০১৫ সাল, ২০১৯ সাল ও ২০২১সাল মিলিয়ে মোট সাত বার এই শিরোপা জয় করেন।

ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু:

তিনি মোট ৬ বার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ বছর গুলোতে তিনি এই অ্যাওয়ার্ড পান।

গোল্ডেন বল:

লিওনেল মেসি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি গোল্ডেন বল পুরষ্কার জিতেছেন, প্রথমটি ২০১৪ সালে ফাইনাল খেলে শিরোপা জিততে না পারলেও লিওনেল মেসি গোল্ডেন বল জিতেছিলেন। ২০২২  কাতার ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি দ্বিতীয়বার জিতেছেন।

এবার মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে গোল করার রেকর্ড গড়েন। তাছাড়া, একক খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকার রেকর্ডও এখন মেসির দখলে।

মেসি কি সর্বকালের সেরা ফুটবলার?

লিওনেল মেসিকে অনেক বিশেষজ্ঞ এবং ভক্তরা সর্বকালের সেরা ফুটবল খেলোয়াড়দের একজন বলে মনে করেন। তিনি তার ক্যারিয়ার জুড়ে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা এবং ছয়টি ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার এবং প্রশংসা জিতেছেন। যাইহোক, সেরা ফুটবলার কে তা নিয়ে মতামত ভিন্ন হতে পারে এবং কিছু লোকের এই বিষয়ে ভিন্ন মতামত থাকতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here