messi

হৃদয়ে নিশ্চয় রক্তক্ষরণ হচ্ছে লিওনেল মেসির। বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যে ক্লাবকে এতোকিছু দিয়েছেন, পেয়েছেনও; সেই ক্লাবের পাঠ চুকিয়ে ফেলতে চান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। বার্সার সঙ্গে একপ্রকার যুদ্ধে নেমেছেন তিনি। ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে এতো শক্ত অবস্থান কেনো নিলেন মেসি?

স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা তুলে ধরেছে দশটি কারণ। মূল কারণ দুটি। একটি আইনি অন্যটি মাঠের। এর মধ্যে আইনি কারণ তিনটি। তবে গুরুতর।

আইনি ঝামেলা:

১. আইনের দিক থেকে বিবেচনা করলে মেসির ফ্রিতে বার্সা ছাড়ার সময় এখনও শেষ হয়নি। কারণ মৌসুম সময় মতো শেষ হয়নি। ১০ জুন ক্লাব ছাড়ার শেষ সময়টা তাই বৈধতা পায় না। তারপরও বার্সা মেসিকে ছাড়ছে না।

২. বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তিতে শেষ মৌসুমটা ঐচ্ছিক। শেষ মৌসুমে তাই ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ যুক্তিযুক্ত নয়।

৩. জোসেপ মারিও বার্তামেউ এর আগে প্রকাশ্যেই বলেছেন, মেসি যখন ইচ্ছা দল ছাড়তে পারবে। সেই সুযোগ তার প্রাপ্য। এখন কথা রাখছেন না তিনি।

খেলা বিষয়ক

১. বার্সার ভবিষ্যত পরিকল্পনা মেসিকে আশ্বস্ত করতে পারেনি। এই প্রজেক্টের ভবিষ্যত দেখেন না তিনি।

২. এরনেস্তো ভালভার্দে মেসিদের খুব পছন্দের কোচ ছিলেন না। তারপরও তাকে যে সময় এবং যেভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে সেটা পছন্দ হয়নি মেসির।

৩. বোর্ডের সঙ্গে মেসির ঝামেলা। ক্লাব সর্বশেষ কয়েক মাস অনেক ঘটনাই ঘটিয়েছে। মেসির যা পছন্দ হয়নি। এছাড়া মেসিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়ানো হয়েছে দুর্নাম।

৪. বোর্ড পরিচালক এরিক আবিদালের সঙ্গে মেসির সম্পর্কে অবনতি। আবিদাল হারের কারণে মেসিদের দায়ী করেছেন। মেসিরা আবার ভালভার্দেকে পছন্দ করেন না বলে তাকে বিদায় করা হয়েছে, এটাও ছড়িয়েছেন।

৫. মেসি মনে করছেন না, বার্সেলোনা তার চাওয়াকে ঠিক মতো গুরুত্ব দেয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তার মতামতকে উপেক্ষা করেছে বার্সা।

৬. মেসির মতে, বার্সার একটা অধ্যায়, একটা যুগ শেষ হয়েছে। পিকের সঙ্গে তিনি একমত। সিনিয়রদের সরিয়ে এখন নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আনা দরকার।

৭. মেসি এবং তার পরিবারকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লক্ষ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। মেসিকে নিয়ে কুচ্ছা রটানো হচ্ছে। সবার মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেসিই বার্সা পরিচালনা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here