প্রিয় ক্লাবের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন লিওনেল মেসি৷ ক্লাব ছাড়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার৷ এ নিয়ে মেসি বনাম বার্সা দ্বন্দ্ব এখন বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা খবর৷ সতীর্থ মেসির পাশে দাঁড়িয়ে বার্সেলোনাকে এক হাত নিলে আর্তুরো ভিদাল৷
ভিদালের মতে, বার্সেলোনা এ বছর মাত্র ১৩ জন পেশাদার খেলোয়াড় ধরে রাখতে পেয়েছে এবং প্রতিযোগিতামূলক দল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। বার্সা এই গ্রীষ্মে ভিদালকেও বিক্রির দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷ আর লিওনেল মেসিকে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-তে ফ্রি ট্রান্সফার করার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ পাশাপাশি আর্জেন্টাইন তারকাকে ধরে রাখতেও লড়াই করছে।
মেসিকে নিয়ে আবেগ যে সারা বিশ্বজুড়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ মেসিকে পেতে ম্যান সিটি-র এক ভক্ত অনলাইনে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগও নিয়েছেন৷ টিম আর্টমান নামে এই মেসি ভক্ত ৯০০ মিলিয়ন ইউরো তোলার লক্ষ্য নিয়ে অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন। চুক্তির শর্ত ‘বাই আউট ক্লজ’ অনুযায়ী ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিলে তবেই মেসিকে বার্সা থেকে কেনা যাবে৷ রবিবার লা-লিগার পক্ষেও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মেসিকে কিনতে গেলে এই টাকাটা বার্সাকে দিতে হবে৷
এর মধ্যেই মেসির পাশে দাঁড়িয়ে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভিদাল। স্পেনের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রথম দলে একাধিক যুব দলের ফুটবলার আনা হয়েছে। অনেক বেশি কিছুই চাওয়া হচ্ছে মেসির থেকে।’
মেসির প্রশংসা করে চিলির ৩৩ বছর বয়সি মিডফিল্ডার বলেন, ‘মেসি অন্য গ্রহের ফুটবলার। কিন্তু ওকে সাহায্য করার মতো কাউকে দরকার। তবেই সেরা ফল পাওয়া সম্ভব।’
ভিদালের মতে, ‘আজকাল ফুটবল আরও শারীরিক, শক্তি এবং গতি সম্পর্কে আরও বেশি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতাও মাঝে মাঝে দ্বিতীয় হতে পারে। বার্সেলোনাকে তাদের ধারণা বদলাতে হবে জিনিস বদলাতে হবে।বার্সাকে আমি বিশ্বের সেরা বলে মনে করি৷ কিন্তু সেরা ক্লাব কখনও ১৩ জন পেশাদার ফুটবল নিয়ে চলতে পারে না৷ আর সব ম্যাচ জেতাও সম্ভব নয়।’
বার্সার নতুন ম্যানেজার রোনাল্ড কোম্যান তরুণ ফুটবলারদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই কারণেই তিনি লুইস সুয়ারেজ, ইভান রাকিতিচকে ছেঁটে ফেলেছেন। একটি ফোন কলে কোম্যানের ফুটবলার ছাঁটায়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকেই৷ পাশাপাশি ভিদালকেও বিক্রি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে৷
কোম্যানের দল গঠনের পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন তুলে চিলির এই মিডিও বলেন, শুধু একাডেমির ছাত্র নয়, অভিজ্ঞ ফুটবলার দরকার। বার্সেলোনার তিকিতাকা পাসিং ফুটবলের যুগও এখনও শেষের পথে৷