Photo credit: Twitter

দুই জয়, ৭ গোল আর অভেদ্য গোলপোস্ট! এক কথায় উড়ছে ব্রাজিল। শেষ মুহূর্তে আয়োজক হওয়ার অসন্তোষকে একপাশে সরিয়ে এগিয়ে চলেছে সেলেসাওরা, যেই সাফল্যে নেইমারের অবদান অবিশ্বাস্য। দুই গোল ও একটি অ্যাসিস্ট বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলারের নামের পাশে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় গ্রুপের শীর্ষ দলটি রিও ডি জেনেইরোতে স্বাগত জানাবে দুই নম্বরে থাকা কলম্বিয়াকে।

২০১৯ সালের নভেম্বরে লিওনেল মেসির গোলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছ থেকে হারের পর জয়রথ চলছে ব্রাজিলের। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ৯ ম্যাচ জিতেছে তারা। দেশের মাটিতে কোপায় তারা অপরাজিত টানা ২২ ম্যাচ। গত আসরে তারা নবমবার অর্জন করেছিল মহাদেশীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব। এবারও তারা শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ফেভারিট।

প্রথম দুই ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ ও পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে ব্রাজিল। অন্যদিকে ইকুয়েডরকে কোনোমতে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা শুরু করা কলম্বিয়া ভেনেজুয়েলার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রর পর পেরুর কাছে হেরেছে ২-১ গোলে। তারপরও ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে হারাতে পারলে শীর্ষস্থানটা কিছু সময়ের জন্য নিজেদের করে নিতে পারবে কলম্বিয়ানরা। অন্যদিকে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করবে তিতের দল।

সেলেসাওদের বিপক্ষে কলম্বিয়াকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে কোপায় শেষ বারের দেখায় পাওয়া জয়। ২০১৫ সালে স্যান্টিয়াগোতে গ্রুপ ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল, বিতর্কিত ওই খেলার শেষ মুহূর্তে নেইমার ও কার্লোস বাক্কা দেখেছিলেন লাল কার্ড। দুই দলই খেলা শেষ করে ১০ জন নিয়ে।

সবশেষ পাঁচ দেখায় ব্রাজিল ও কলম্বিয়ার লড়াইটা হয়েছে প্রায় সমানে সমান। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা দুটি জিতেছে, হেরেছে একটি আর বাকি দুটি ড্র। সবশেষ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রীতি ম্যাচে তাদের ২-২ গোলে রুখে দিয়েছিল কলম্বিয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here