১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মাস্ক পড়া উচিত, যা প্রাপ্ত বয়স্কদের অভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এবার এমন দিকনির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
নির্দেশনায় বলা হয়, কিশোর-কিশোরীরাও প্রাপ্তবয়স্কদের মতো অন্যকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, পাঁচ বছর এবং এর কমবয়সী শিশুরা সাধারণত মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুদের পরিস্থিতি অনুযায়ী মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্ককে শিশুদের ওপর নজর রাখতে হবে, যাতে তার মাস্ক ব্যবহার নিরাপদ ভাবে করতে পারে।
এদিকে মাস্ক পরলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে এমন শিশুদের বয়স যেমনই হোক না কেন তাদের মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা উচিত নয় বলে জানানো হয়েছে। খেলা বা অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রম করার সময়ও শিশুদের মাস্ক ব্যবহার করার দরকার নেই। কারণ এটি তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
সম্প্রতি ১১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে ফ্রান্স। আর ব্রিটেনে সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে শিশুদের মাস্ক পরতে দেখা যায়। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু অব্যাহত আছে মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশেই।
নতুন করে আরও করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ডে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা আট লাখ আট হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ৩৩ লাখের বেশি। তবে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫৯ লাখের বেশি মানুষ।