আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম দিকেই করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান বাংলাদেশে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিসিপিএস ভবনে হাম-রুবেলার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাপ্রতিরোধী টিকা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই পেয়ে যাব বলে আশা করি। তিন কোটি ডোজ টিকা সরকার সরাসরি নিয়ে আসছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতে পেরেছে মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য সরকার অনেক আগেই চুক্তি করেছিল। বিশ্বের অনেক দেশের চুক্তি না থাকায় টিকা পেতে বিলম্ব হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে শুরুতেই বাংলাদেশ টিকা পাবে। এর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বাংলাদেশকে কিছু টিকা দেবে। সেগুলো আসতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। তবে টিকা আসবে। এভাবে প্রায় ২৭ ভাগ মানুষ টিকা পাবেন।’

অনুষ্ঠানে টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক নিয়মে ও দক্ষতার সঙ্গে টিকা দেওয়ার কারণে হাম-রুবেলা, পোলিওসহ ১০টি দুরারোগ্য ব্যাধি দেশ থেকে নির্মূলের পথে রয়েছে। নিয়মিত ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতি উত্তোরণে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ থেকে হাম-রুবেলা নির্মূলের লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার আগামী শনিবার থেকে আগামী ২৪ জানুয়ারি এবং ২০২১ সালে সারাদেশে আরও একটি হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত টিকাদান চলবে। করোনা মহামারির কারণে এ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালন করা হবে না। টিকা দেওয়া হবে কমিউনিটি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. ভুপিন্দর কাউল, ইউনিসেফের প্রতিনিধি তমু হজুমি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here