এখন এ দেশে সবচেয়ে আলোচিত আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু। এটা ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রবেশ করার ৪ থেকে ১০ দিন পর রোগের উপসর্গ দেখা যায়।
বাচ্চাদের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ সচরাচর ধরা পড়ে না। বাচ্চা যত ছোট হয় তার লক্ষণ ততই সাংঘাতিক হয় এবং সংক্রমণ হওয়ার চার দিন পর সেই লক্ষণ সনাক্ত করা যায়।
শিশুদের ডেঙ্গু রোগের কয়েকটি লক্ষণ:
১. আপনার বাচ্চার যদি উচ্চ তাপমাত্রা – খুব বেশি জ্বর থাকে (সাধারণত ১০২-১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট), যদি জ্বর ২৪ ঘণ্টা থেকে বেশী সময় ধরে থাকে তাহলে শিশু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
২. মাথা বা শরীরের ব্যথায় বাচ্চা অযথা কান্নাকাটি বা বিরক্ত করতে থাকে।
৩. ত্বকে র্যাশ হওয়া। এগুলি দেখতে মিজেলের মত চাকা চাকা (প্যাচ) হয়ে থাকে।
৪. সারা শরীরে লালচে দানা দেখা দিতে পারে। এ সময় শিশু একেবারে নিস্তেজ হয়ে যায়।
৫. অনেক সময় মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাতের চিহ্ন দেখা যায়
৬. বয়স্ক মানুষের তুলনায়, স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চারা বুঝতে অক্ষম হয় যে তাদের শরীরে বাস্তবিক কি সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে বাচ্চাদের মধ্যে বিরক্তিভাব ও ব্যবহারিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। ওরা খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় ও প্রায়শই দেখা গেছে ওদের খিদে কমে যায়।
৭. পালস খুব কম, পানি শূন্যতা ও অনেক শিশুদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি : এই মৌসুমে শিশুর জ্বর শুরু হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং কিছু নিয়ম অবশই মেনে চলতে হবে যেমন :
- তরল খাবার, বুকের দুধ, পানি, খাওয়ার স্যালাইন, ডাবের পানি, শরবত, স্যুপ ইত্যাদি বেশি করে পান করাতে হবে ।
- জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে
- খুব বেশি জ্বর হলে প্যারাসিটামল সিরাপ বা সাপোজিটরি দিতে হবে। তবে এসপিরিন জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না।
- প্রস্রাব ঠিকমতো করছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে ।
জ্বর হলে আতংকিত না হয়ে নিয়মিত ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর সেবা করতে হবে ।