ডাব একটি সুস্বাদু ফল। ডাবের পানির উপকারিতা তো রয়েছে কিন্তু তুলনামুলক অপকারিতা নাই বললে চলে। এটি কোনো কৃত্রিম পানীয় নয়, সে কারণে আমাদের কোনো রোগ হলে প্রায়ই চিকিৎসকরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ডাবের পানি দ্রুত পানিশুন্যতা দূর করে বলে পান করার পর বেশ ঝরঝরে লাগে এটা ঠিক, কিন্তু এতে ক্যালরি যে খুব বেশি রয়েছে, তা নয়। ১০০ মিলিলিটার ডাবের পানিতে চিনি বা শর্করা আছে ২ দশমিক ৭ মিলিগ্রামের মতো, যা দোকানের বিভিন্ন জুস, ড্রিংকস বা কোমলপানীয়র চেয়ে অনেক কম। ডাবের পানিতে মোনোলৌরিন নামক যৌগ থাকার ফলে তা শিশুদেরকে নানান রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম কচি ডাবের পানিতে খাদ্য শক্তি পাওয়া যায় ১৯ কিলো ক্যালরি। এছাড়া ১০০ গ্রাম কচি ডাবের পানিতে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৩.৭১ গ্রাম, প্রোটিন ০.৭২ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.২০ গ্রাম। এছাড়া সোডিয়াম রয়েছে ১০৫ মি.গ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ২০৫ মি.গ্রাম। সাধারণত, শিশুর জন্মের প্রথম ছয় মাস পর থেকে ডাবের জল খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

শিশুরা ডাবের পানি পান করলে যে উপকার-

* শিশুদের ঠান্ডা ও ফ্লু থেকে বাঁচতে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম করে।

* ডাবের পানি অন্ত্রের কীট নির্মূল করে।

* গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

* কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে।

* কিডনির পাথর দ্রবীভূত করে।

* বদহজম ও ডায়রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া তরল প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

শিশুকে কীভাবে ডাবের জল খাওয়াবেন?

* একসঙ্গে ডাবের পানি পান করাবেন না, একটু একটু করে পান করান।

* শীতকালে শিশুকে ডাবের জল খাওয়াবেন না।

* ডাবের বাসি পানি খাওয়াবেন না।

* শিশুর ফল বা বাদামে অ্যালার্জি থাকলে ডাবের জল খাওয়ানো এড়িয়ে চলুন। সূত্র: সাইফী হাসপাতাল, মুম্বাই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here