ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথিত অভিযোগ এনে নড়াইলে এক কলেজ অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এই জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম ছায়েদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নড়াইল জেলার সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল আনা সম্পূর্ণ নিষেধ। কোনো শিক্ষার্থীর কাছে ফোন পাওয়া গেলে তা নিয়ে নেওয়াসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েয়েছ। নির্দেশনাটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের তৎপর থাকতে এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ পরীক্ষা করতেও বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যবহারের ফলে ভালো-মন্দ বিবেচনা না করে বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত পোস্টে, লাইক এবং শেয়ার করছে, যার কারণে তৈরি হচ্ছে বিব্রতকর ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলেন ওই কলেজের ছাত্র ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। একই ধর্মের হওয়ায় তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। এ সময় তাদের পাশে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত কলেজছাত্রের সঙ্গে আটক করা হয় অধ্যক্ষকে। ওই দিনই থানা হাজত থেকে অধ্যক্ষকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।