প্রবীণ দিবস

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালিত হয়। এই দিনটি আমাদের সমাজের এক বিশেষ অংশকে, যারা নিজেদের জীবনের অধিকাংশ সময় দেশ ও সমাজের জন্য উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি সম্মান জানানোর একটি দিন। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য: বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’।

কবে থেকে প্রবীণ দিবস শুরু

১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই দিনটি পালনের মধ্য দিয়ে সমাজের এক বিশেষ অংশকে, যারা নিজেদের জীবনের অধিকাংশ সময় দেশ ও সমাজের জন্য উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।

প্রবীণ দিবসের উদ্দেশ্য:

  • সমাজে প্রবীণদের অবদান স্বীকার করা: তাদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং দক্ষতা সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • প্রবীণদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা: প্রবীণদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো।
  • প্রবীণদের সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা: তাদের স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

প্রবীণ দিবসে কী করা যায়:

  • প্রবীণদের সাথে সময় কাটানো: তাদের সঙ্গে কথা বলা, তাদের গল্প শোনা এবং তাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখানো।
  • প্রবীণদের জন্য উপহার দেওয়া: তাদের পছন্দের কিছু উপহার দিয়ে তাদের খুশি করা।
  • প্রবীণদের জন্য স্বেচ্ছাসেবায় অংশগ্রহণ করা: তাদের যত্ন নেওয়া এবং তাদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করা।
  • প্রবীণদের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রবীণদের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
  • সরকার ও সংস্থাগুলোকে প্রবীণদের কল্যাণে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা: প্রবীণদের জন্য আরও ভালো পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার ও সংস্থাগুলোকে উৎসাহিত করা।

উপসংহার:
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের সমাজে প্রবীণরা এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের অবদানকে স্বীকার করে, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং তাদের কল্যাণে কাজ করে আমরা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে পারি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here