চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রমজান শুরু হয় ও চাদ দেখার মাধ্যমেই এই মাস শেষ হয় । চাঁদ দেখার গুরুত্ব নিয়ে মহানবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখা বন্ধ করো না, কিন্তু যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে গণনায় ৩০ পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০৯; মুসলিম, হাদিস নং: ১০৮১)”।
আরও পড়ুন:
- তারাবির নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত
- রমজান জিজ্ঞাসা, রোজা নিয়ে আপনার প্রশ্ন ও উত্তর
- ১১টি শ্রেষ্ঠ তাসবিহ, দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করুন
প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমজানে রোজা পালন বাধ্যতামূলক। পবিত্র কোরআনে রোজা রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে ‘তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া উল্লেখ করা হলো – সেহরি খাওয়ার পর যদি নিয়ত করতে মনে না থাকে, তাহলে কোন সমস্যা হবে না, কারণ রামজান মাসে রোজার উদ্দেশ্যে সেহরি খেলেই রোজার নিয়ত হয়ে যায়।
রোজার আরবি নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রোজার বাংলা নিয়তঃ
হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
ইফতারের আরবি দোয়া:
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْماَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
ইফতারের বাংলা দোয়াঃ
হে আল্লাহ তায়ালা আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমাজানের ফরয রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনেই রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার আরম্ভ করছি। তারপর “বিসমিল্লাহি ওয়া’আলা বারাকাতিল্লাহ” বলে ইফতার করা।
আরও পড়ুন: