ঈদে মিলাদুন্নবী

আজ (সোমবার) ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনে আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন তিনি। আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। এ জন্য এটি ওফাত দিবসও। বিভ্রান্ত মানুষদের পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। তাই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহর আনন্দের দিন। আবার এদিনই তিনি মারা যাওয়ায় একইসঙ্গে এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য কষ্টের দিনও।

ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তের সিলসিলায় শেষ নবী। তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে এক পবিত্র দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। বছর ঘুরে এল আবার সেই দিন।

সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিব বিশ্বনবী (সা.)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। এরপর বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান।

সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। এরপর মহানবী (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এ বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।

মহানবী (সা.) কেন আমাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ?

  • আল্লাহর রাসূল: মহানবী (সা.) আল্লাহর শেষ ও সর্বশেষ রাসূল। তিনি আমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন।
  • আদর্শ জীবন: তাঁর জীবন ছিল একটি আদর্শ জীবন। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, ক্ষমা, দয়া, ভ্রাতৃত্ববোধ – এইসব গুণাবলী তিনি আমাদেরকে শিখিয়েছেন।
  • পবিত্র কোরআন: তাঁর মাধ্যমেই আমরা পবিত্র কোরআন পেয়েছি, যা আমাদের জীবনের দিশানির্দেশনা দেয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের গুরুত্ব

  • শ্রদ্ধা জানানো: এই দিনে আমরা মহানবী (সা.) এর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাই।
  • আদর্শ অনুসরণ: তাঁর জীবন ও শিক্ষা আমাদের জন্য অনুসরণযোগ্য আদর্শ।
  • একতা সৃষ্টি: এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়কে একত্রিত করে।

কিভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা যায়?

  • নামাজঃ রাতের বেলা নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ, দরুদ শরীফ ও তাসবিহ পড়া।
  • মিলাদ মাহফিল: মিলাদ মাহফিলে মহানবীর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
  • দোয়া: মহানবীর জন্য দোয়া করা।
  • কোরআন তিলাওয়াত: পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা।
  • দান-খয়রাত: দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করা।
  • শান্তিপূর্ণ উদযাপন: শান্তিপূর্ণভাবে এই দিনটি উদযাপন করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here