বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির গ্রিন, ব্ল্যাক ও রেড-টি পাওয়া যায়। তবে এসবের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী ব্লু-টি (নীল-চা)। গত এক দশকে গ্রিন-টি জনপ্রিয় হলেও সারা ফেলেনি নীল-চা। কারণ এই চা সম্পর্কে মানুষ খুব একটা জানানে না।
নীল অপরাজিতা ফুল, ক্লিটোরিয়া টারনেটি থেকে তৈরি হয় এই নীল-চা। কষা স্বাদ ও নীল রঙের জন্য অনেকেই এই চা পছন্দ করে না। কিন্তু এই চায়ের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। নীল-চা নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
অপরাজিতা ফুল দিয়ে তৈরি এই চা আপনাকে দিনভর তরতাজা রাখতে যথেষ্ট। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুণে ভরপুর নীল-চা শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ায়।
নীল-চা লিভারে বাইল তৈরিতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ হজমে সাহায্য করে। বমি ভাব দূর করতেও কাজ করে এই চা। এছাড়াও অ্যান্টি-গ্লাইসেটিন গুণের জন্য নীল-চা ত্বকের পক্ষে খুব ভালো। এতে থাকা ফ্লাভনয়েড ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাসটিসিটি বাড়ায়। বলিরেখা পড়তে দেয় না।
নীল-চায়ে অ্যান্থোসায়ানিন রয়েছে। যা চুল পড়ার রোধে কাজ করে। এছাড়াও স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে হেয়ার ফলিকলের বৃদ্ধি ঘটায়। ডায়েবেটিস রোগীদের জন্য এই চা খুবই উপকারী।
চঞ্চলতা ও হতাশা কাটানোর এক দারুণ ওষুধ নীল-চা। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতেও নীল-চায়ের জুড়ি নেই।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করতে পারে নীল-চা। এর মধ্যে থাকা একাধিক উপকারী উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকিকে কমাতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে নীল-চা। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।