দেশে সারাবছরই কম বেশি গরম থাকে। তবে এই সময়টাতে বেশি গরম থাকে যাকে বলা হয় ভ্যাপসা গরম। এই গরমে সবাই চায় আরামদায়ক পোশাক। কোথায় ঘুরতে গেলে বা কোন অনুষ্ঠানে চায় আরামদায়ক পোশাক।
গরমে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবে যাওয়ার জন্য শিপন, জর্জেট, সুতি, ঢাকাই জামদানি, মসলিন, টাঙ্গাইলের জামদানি, টাঙ্গাইল বালুচুরি, কোটা এসব শাড়ি পরা যায়। গরম-বর্ষা দুটোকেই মাথায় রেখে ফ্যাশন ডিজাইনাররা জর্জেট শাড়িকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
ফ্যাশন ডিজাইনারদের চাহিদা
জর্জেট শাড়ি সব জায়গায় বা সব পরিবেশে নামিয়ে নেয়া যায়। এই শাড়ি পরে উপস্থাপনার পাশাপাশি নিজেকে গর্জিয়াস লুকে ফুটিয়ে তোলা যায়। এবারের ঈদে গরম থাকায় চাহিদার শীর্ষে থাকবে জর্জেট শাড়ি। এমনটাই মনে করেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তাই ঈদে শাড়ি হিসেবে জর্জেট শাড়িই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
নিজের মত করে সাজিয়ে নিন জর্জেট শাড়ি
এই শাড়িকে নিজের মত করে ঘরে বসেই ফুটিয়ে তোলা যাবে। পুরোটা করতে না চাইলে শুধু আঁচল আর বুক থেকে কোমর পর্যন্ত কাজ করতে পারো। প্রিন্টের জর্জেট হলে প্রিন্টের ডিজাইনের মাঝে মাঝে চুমকি বসাতে পারো। বাজারে বিভিন্ন রকমের আর সাইজের চুমকি পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করো। এতে শাড়ি দেখতে উজ্জ্বল লাগবে। পাতলা জর্জেট পরতে অসুবিধা হলে কারচুপির কাজ করে নিতে পারো। আঁচলে আর পাড়ের কাছে কারচুপির কাজ করলে শাড়ি ভারি হবে। এ ছাড়া শাড়ি পাতলা দেখাবে না।
বৃষ্টিতে জর্জেট শাড়ি
জর্জেট শাড়ি ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ইস্ত্রি করার ঝামেলা নেই, হালকা কাপড়, এবং গরমেও পরতে আরাম। এ কারণেই উৎসব, সঙ্গে হঠাৎ বৃষ্টির ভয় থাকলে উপযুক্ত কাপড়ই জর্জেট। জর্জেট কাপড়ের শোষণ ক্ষমতা ভালো থাকায় বিভিন্ন রঙের বৈচিত্র্য আনা যায়। আবার প্রিন্টের নকশা করাও সম্ভব হয়।
নানা জাতের জর্জেট শাড়ি
জর্জেট নাম একটা হলেও নানা রকমের রয়েছে। মার্বেল, লেজার, ওয়েটলেস এবং শিফন। এর মধ্যে ওয়েটলেস জর্জেট দিয়েই সাধারণত সালোয়ার কামিজে কাজ করা হয়। প্রিন্টের ক্ষেত্রে বরাবরই প্রাধান্য পেয়েছে ফ্লোরাল মোটিফ।
যা জানা প্রয়োজন
১: জর্জেট কাপড় ধুয়ে নিংড়ানোর প্রয়োজন নেই। কিছুক্ষণ রেখে দিলেই পানি শুকিয়ে যায়। যে কোনো দাগই হোক না কেন, ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা উঠে যাবে।
২: কাপড় ধোয়ার সময় ডিটারজেন্ট পাউডার যেন অতি ক্ষারীয় না হয়। ক্ষার যে কোনো কাপড়ের জৌলুশ নষ্ট করে দেয়।
৩: জর্জেট ধোয়ার সময় কোনো ধরনের ব্রাশ ব্যবহার কিংবা জোরে কাচা উচিত নয়। এতে কাপড় ফেঁসে যেতে পারে।
৪: গরম পানিতে জর্জেট কাপড় ধুলে তা কুঁচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ঠান্ডা পানিতে জর্জেট কাপড় ধুতে হয়।
৫: রোদ থেকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে রাখো। রোদে কাপড়ের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
Model Make up: Bling by Eshrat