এক ব্যাংকের গ্রাহকের আরেক ব্যাংকে ইলেকট্রনিক লেনদেনের চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তরে গ্রাহক থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা আদায় করা যাবে। বাংলা কিউআরে মার্চেন্ট থেকে মোট লেনদেনের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ চার্জ কাটা যাবে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বিনিময় চার্জ বাবদ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে দিতে হবে। কার্ডের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবার মূল্য পরিশোধে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কার্ডের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধে গ্রাহক থেকে লেনদেনপ্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা আদায় করবে। ২৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট ব্যাংকগুলো প্রচলিত ফি দেবে। সোমবার একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে এ নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতদিন শুধু আন্তঃব্যাংক এটিএম থেকে নগদ উত্তোলন, স্থিতি অনুসন্ধান ও মিনি স্টেটমেন্টের চার্জ নির্ধারিত ছিল। এগুলো অপরিবর্তিত রেখে আন্তঃব্যাংক পস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, বাংলা কিউআর ও সরকারি চালানের চার্জের পরিমাণ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করলে বর্তমানের মতোই সর্বোচ্চ ১৫ টাকা চার্জ নেওয়া যাবে। আর পাঁচ টাকা দেবে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক। এ ছাড়া স্থিতি অনুসন্ধান ও খুদে বিবরণীর জন্য বর্তমানের মতোই গ্রাহকের কাছ থেকে পাঁচ টাকা ফি নেওয়া যাবে। পাশাপাশি এটিএম থেকে তহবিল স্থানান্তরে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা এবং অন্য ব্যাংকের এটিএমে জমার জন্য ২০ টাকা ফি নেওয়া যাবে।
পয়েন্ট অব সেলস বা পস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনে প্রতি লেনদেনে গ্রাহকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা চার্জ নেওয়া যাবে। এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেলসে কেনাকাটার বিল পরিশোধ করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট লেনদেনের ন্যূনতম ১ দশমিক ৬০ শতাংশ ডিসকাউন্ট বাবদ আদায় করবে। এর মধ্যে ১ দশমিক ১ শতাংশ বিনিময় ফি হিসেবে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে দেবে।