সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম চিত্ত রঞ্জন দত্তকে (সিআর দত্ত) শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় পতাকায় মোড়া তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে। ঢাকার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। গার্ড অব অনার দেয়ার পাশাপাশি তার কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় সিআর দত্তের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সবুজবাগের রাজারবাগ শ্মশানে। সেখানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তার মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে পৌঁছানোর পর রাখা হয় ঢাকা সিএমএইচের হিমঘরে। মঙ্গলবার সকালে পরিবার ও স্বজনদের শেষ দেখার জন্য কফিন নেয়া হয় তার বনানী ডিওএইচএসের বাসায়। সেখান থেকে সকাল সোয়া ৮ টার দিকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় সি আর দত্তের মরদেহ।
সি আর দত্তের ছেলে চিরঞ্জিত দত্ত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সাংবাদিকদের বলেন, বাবাকে আমরা ভিন্নভাবে দেখেছি নানা সময়ে। এ দেশ নিয়ে তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন। কত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি দেশের জন্য লড়াই করেছেন। বাবার স্বপ্ন ছিল এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের। তিনি সারা জীবন সে লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। কোনো কিছু নিয়ে তার কখনও কোনো আক্ষেপ ছিল না। দেশকে তিনি হান্ড্রেড পারসেন্ট ভালোবাসতেন। সি আর দত্তের মেজ মেয়ে চয়নিকা দত্ত বলেন, বাবার সবটুকু স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে। সোনার বাংলার উন্নতি হবে কীভাবে তাই নিয়ে ভাবতেন তিনি। বড় মেয়ে মহুয়া দত্ত এবং ছোট মেয়ে কবিতা দাসগুপ্তও বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
