সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার দুই নম্বর আসামি তারেকুল ইসলাম তারেককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর একটি টিম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৯ এর একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ নিয়ে মহানগর পুলিশের চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এজাহারনামীয় ৬ আসামিসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ও র্যাব।
তারেক সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে গণধর্ষণের মামলার আরও তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলায় এজাহারনামীয় ছয়জনসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ। এ ছাড়া গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনা তদন্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
গণধর্ষণ মামলার আসামি শেখ মাহবুবুর রহমান রণি, রাজ চৌধুরী রাজন ও আইনুদ্দিনকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানি শেষে বিচারক সাইফুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গণধর্ষণ মামলার এই তিন আসামির পক্ষে মঙ্গলবার আদালতে কোনো আইনজীবী মামলা পরিচালনায় অংশ নেননি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খোকন কুমার দত্ত।
এর আগে গত সোমবার একই মামলার আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তাদের পক্ষেও মামলা পরিচালনায় কোনো আইনজীবী অংশ নেননি।